কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজের আলোচিত সেই অধ্যক্ষ কালিম মোহাম্মদ’র নামে এবার চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শিহাব উদ্দীনের আদালত মঙ্গলবার (২৭আগষ্ট) মহিপুর থানার ওসিকে চাঁদা দাবীর বিষয়ে তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করেন।
উপজেলার মহিপুর থানাধীন বিপিনপুর গ্রামের হাজী আবদুস সালাম উদ্দীন মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারী মো: জসিম মৃধার নামে মঙ্গলবার এ মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেএল ২৬, শিববাড়িয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানে ৩১২৫/১৩ নং দাগের ০.০০৪৪ একর ভূমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য হাজী আবদুস সালাম তার পুত্র মাজাহার উদ্দীন’র নামে ভূমি অফিস থেকে বন্দোবস্ত নেন। এরপর ওই বন্দোবস্ত পাওয়া চান্দিনা ভিটির উপর ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দোকান ঘর তৈরী করার পর অধ্যক্ষ কালিম মোহাম্মদ তার ভিটি দাবী করে তাঁর নিকট দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা না পেয়ে ১নং আসামীর নির্দেশে ২নং আসামী দোকান ঘরটিতে তালা লাগিয়ে দেয়। এসময় অধ্যক্ষ কালিম মোহাম্মদ হাজী আবদুস সালামকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ সহ তাঁকে খুন জখমের হুমকী প্রদান করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে অধ্যক্ষ কালিম মোহাম্মদ তার প্রতিষ্ঠানে এমএলএসএস পদে নিয়োগের জন্য মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের জনৈক মো: ইউসুফ’র নিকট থেকে আশি হাজার টাকা গ্রহন করে চাকুরী না দিয়ে আত্মসাত করেন। ভুক্তভোগী ইউসুফ গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ কলাপাড়া ইউএনও’র কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। এমনকি নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিকট থেকে দাবীকৃত সুবিধা না পেয়ে জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে পদোন্নতির সুপারিশ করায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ করেন। সহকর্মী প্রভাষক চঞ্চল সাহাকে সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক গালমন্দ করে ভীতি প্রদর্শন করায় তিঁনি গত ১৭ জুলাই ২০১৯ কলাপাড়া থানায় ৭১৪ নম্বর জিডি দায়ের করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ কালিম মোহাম্মদ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে একটি মহলের ষড়যন্ত্র।