র্যাব জানায়, ১৯৯৩ সালে এইচএসসি পাস করা এই ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার এক বছর ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে সনোলজিস্ট হিসেবে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে আসছিলেন। এছাড়া নারী রোগীদের কোনো নার্সের সাহায্য ছাড়াই তিনি একাই আল্ট্রাসনোগ্রাম করতেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব বলেন, ডাক্তার না হয়েও জহিরুল ইসলাম রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন। তিনি মূলত আল্ট্রাসনোগ্রাম করতেন। অভিযানের সময় তিনি কোনো সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। তবে তিনি ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানে তিন বছরের কোর্স করেছেন বলে জানিয়েছেন। যার ভিত্তিতে তিনি এখানে আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট লিখতেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
অন্যদিকে ২০১৭ সালের পর প্রতিষ্ঠানটির পুনঃনিবন্ধন না থাকায় মালিক পক্ষকে কাগজপত্র ঠিক না করা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।