অনলাইন ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণে প্রায় সোয়া তিন হাজার কোটি টাকার ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ব্যয় বৃদ্ধির কারণ সাংবাদিকদের ব্যাখ্যা করে কমিটির সভাপতি বলেন, এই সেতু নির্মাণে কাজের পরিমাণ বেড়েছে। তবে কি ধরনের কাজ বেড়েছে সেটি মৌখিক জানানো হয়েছে। এটি একনেকেই আলোচনা হওয়া ভালো। ২০১৬ সালে যমুনা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। তিন বছরের মাথায় প্রায় সোয়া তিন হাজার কোটি ব্যয় বেড়ে এটি এখন ১২ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার প্রকল্পে দাড়িয়েছে। বাড়তি ব্যয়ের পুরো অর্থ জাইকা ঋণ সহায়তা হিসেবে দেবে।
তিনি বলেন, ‘ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবসহ প্রকল্পটির আবার ডিপিপি করতে হবে, আবার একনেকে যাবে। তখন একনেক থেকে অনুমোদনের পর আর ক্রয় কমিটিতে আসতে হবে না। অনেক ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে, তাই আবার একনেকে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এটা দেখা উচিত, দেখে যদি উনি অনুমোদন দেয় ওকে। একনেক অনুমোদন না দিলে হবে না।’
রীতি অনুযায়ী, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরির পর প্রকল্প অনুমোদন হয়। তারপর ব্যয়ের প্রস্তাব আসে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে। প্রকল্প সংশোধনের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনসৃত হয়। তবে মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর এর ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাজে গতি আনতে চাই, এ জন্য পদ্ধতি সহজ করতে হবে। আজকে যদি অনুমোদন না দিয়ে ফেরত দিয়ে দিতাম, তাহলে আবার একনেকে নিতে হত। একনেক অনুমোদন দিলে আবার ক্রয় কমিটিতে আনতে হত। এ প্রকল্প একনেক প্রথমে অনুমোদন দিয়েছে। অনেক ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে, তাই আবার একনেকে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এটা দেখা উচিত, দেখে যদি উনি অনুমোদন দেয় ওকে। একনেক অনুমোদন না দিলে হবে না।’