নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেমএম নূরুল হুদার আঙুলের ছাপ মেলেনি। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে তিনি ভোট দেন।
শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে যান সিইসি।
কলেজ ভবনের দোতালায় আট নম্বর বুথে তিনি ভোট দিতে ঢোকেন। ইভিএম মেশিনে তার দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি স্ক্যান করা হয়। তবে কোনোটিই ম্যাচ করেনি।
এর পর দ্রুত কর্মকর্তারা তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিয়ে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এরপর তিনি ভোট দিয়ে চলে যান।
সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সিদ্দিকা বুলবুল এ বিষয়ে বলেন, সিইসির প্রথম দুটি বৃদ্ধাঙ্গুলীর ছাপ নেয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তা ম্যাচিং করেনি। পরে আমরা আর চেষ্টা করিনি।
তিনি জানান, তাড়াহুড়োর কারণে এবং ভোটার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমরা তার এনআইডি নম্বর দিয়ে ভোট নিয়েছি।
ইভিএম মেশিনে ফিংগার প্রিন্ট না মেলার বিষয়ে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, কারো ফিংগার প্রিন্ট না মিললেও ভোট দেয়ার তিন-চারটি উপায় আছে। সেভাবে তারা ভোট দিতে পারবেন।
এদিকে সকালে ভোট শুরুর আধঘণ্টা পার হলেও এই কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। সকালে সাত নম্বর কক্ষে দেখা গেছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা অলস সময় পার করছেন। আবার কোনো প্রার্থীর এজেন্টও দেখা গেলো না। পুরো কক্ষই ফাঁকা। এ কক্ষের মতো পুরো ভোটকেন্দ্ররই একই অবস্থা।
এজেন্ট না থাকার কারণ জানতে চাইলে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ইয়াসমিন হামিদ বলেন, তারা একটু বাইরে গেছেন। আসবে রে। এখন পর্যন্ত কোনো ভোটার আসেনি। কেউ ভোট দেয়নি।
এই ভোট কেন্দ্রে ২৯২৮ জন ভোটার রয়েছেন। ভোট শুরুর এক ঘণ্টায় অনেক কক্ষে একটি ভোটও পড়েনি, এমনকি মহিলা কোনো ভোটারও দেখা যায়নি।