নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে ‘নতুন মোটরযান আইন (সংশোধনী) ২০১৯’ নামে একটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন অপরাধের জন্য বর্তমান ও নতুন জরিমানা তুলে ধরে ধরা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘নতুন মোটরযান সংশোধন আইন’ নিয়ে প্রচারণাকে গুজব বলেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের এ মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মোটরযান আইন বলতে কোনো আইন নেই। কিন্তু মোটরযান আইনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটা গুজব রটানো হচ্ছে যে, এখানে জরিমানা বাড়ানো হয়েছে। আসলে তো এটা মোটরযান আইন না, এটা সড়ক পরিবহন আইন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা তো মোটরযান আইন সংশোধন না। এরা বিষয়টা জানেই না। নতুন মোটরযান সংশোধন আইন তৈরি হয়নি, আমাদের আইন হচ্ছে সড়ক পরিবহন আইন। কাজেই এটার নাম তো ভুল।’
জরিমানার হারগুলো ঠিক আছে কিনা- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এগুলো ঠিক হওয়ার কোনো কারণই তো নেই। নামটা যেমন ভুল, জরিমানার হারও মনগড়া। যারা করেছে স্বার্থান্বেষী মহল করেছে। এখানে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য। মালিক-শ্রমিকদের উস্কে দেয়ার জন্য এটা একটা চক্রান্ত, একটা পাঁয়তারা।’
পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকৃতপক্ষে সড়ক পরিবহন সেক্টরে ‘নতুন মোটরযান আইন (সংশোধনী) ২০১৯’ নামে কোন আইন নেই।
এতে বলা হয়, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ কার্যকর করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে বিধিমালা প্রণয়নের কাজ করছে। ‘নতুন মোটরযান আইন (সংশোধনী) ২০১৯’ এবং অপরাধের অপরাধের শাস্তির বিধান বিষয়ক তথ্য অপপ্রচার ও গুজব। এ অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
নবম ওয়েজবোর্ডের সুপারিশ যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে
নবম ওয়েজবোর্ডের সুপারিশ মন্ত্রিসভায় কেন পাস হচ্ছে না- জানতে চাইলে এই সুপারিশ পর্যালোচনা কমিটির প্রধান ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা ক্যাবিনেটে পাস করার কোন বিষয় নয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি (সার-সংক্ষেপ) আকারে যাবে, সেটা রেডি হচ্ছে। যে কোন দিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে পারে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত আসবে।’
কাউন্সিলের সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেই
আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্মেলন অক্টোবরেই হওয়ার কথা। নিয়মানুযায়ী তিন বছরে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। অক্টোবরে এখনও ঠিক আছে। আমরা তো পরিবর্তন করিনি। পরিবর্তন করলে ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ডেকে তা করার বিষয় আসবে। সেটা এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। অক্টোবরে হবে না এই মুহূর্তে বলা যাবে না। আমরা এক মাসের নোটিশ দিয়েও জাতীয় সম্মেলন অতীতে করেছি। তবে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।’
আজকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, এত বছরে বিএনপিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন- এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের শুভ কামনা করি। তারা নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে ইতিবাচক রাজনীতিকে আলিঙ্গন করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’