বরিশালে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘বরিশাল ম্যারাথন-২০২০’। মাদক ছেড়ে সুস্থ শরীর গঠনের জন্য ম্যারাথন গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এ রকম একটি আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি অংশগ্রহণকারীরা। অপরদিকে সমাজ গঠনেও এই উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রথম বরিশাল ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে ম্যারাথন শুরু হয়ে নগরীর উপকণ্ঠ লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি গিয়ে সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ফিরে আসেন অংশগ্রহনকারীরা। বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষ এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন।
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হয় বরিশাল ম্যারাথন। এর মধ্যে সাড়ে ৩ কিলোমিটারে ৫ জন, ৫ কিলোমিটারে ১৫ জন, ১০ কিলোমিটারে ৩৯ জন আর ২১.১ কিলোমিটারে ৬০ জন অংশগ্রহন করে। মোট অংশগ্রহণকারী ১১৯ জনের মধ্যে বরিশালের অংশগ্রহণকারী ১৪ জন। অন্যরা দেশের বিভিন্নস্থান থেকে অংশ নিতে এসেছেন।
৪ ক্যাটাগরীর মধ্যে ২১.১ কিলোমিটার ক্যাটাগরী ম্যারাথনে প্রথম হন ঢাকার মো. ওয়াসিউর রহমান, দ্বিতীয় হন ঢাকার রানা রহমান এবং তৃতীয় হন চট্টগ্রামের আদিবাসী শোভন মিত্র তনচঙ্গা।
অপরদিকে ১০ কিলোমিটার ম্যারাথনে প্রথম হন নারায়নগঞ্জের শেখ জহিরুল ইসলাম, দ্বিতীয় হন ঢাকার ড. প্রনব কুমার সাহা এবং তৃতীয় হন ঢাকার মো. আবদুল্লাহ স্বজন।
এছাড়া ৪টি ক্যাটাগরী ম্যারাথনে নির্ধারিত লাইন শেষ করা অংশগ্রহণকারী সবাইকে ফিনিশার মেডেল দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আয়োজক কসমিক কালচারের সভাপতি ড. অনিশ মন্ডল।