বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আরও তিনজন সাক্ষ্যর জেরাসহ ৫৪ জন সাক্ষ্যর জেরা সমাপ্ত হয়েছে। রিফাত শরীফকে হত্যায় ব্যবহৃত সেই বগি দা আদালতে সনাক্ত করেছে দুইজন সাক্ষ্য। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বরগুনার শিশু ও জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমানের আদালতে আবদুর রাজ্জাক, মো. রাজু মির ও মো. শানু হাওলাদার যখন সাক্ষ্য দেয় তখন হাজতে থাকা ৭ শিশু আসামী ও জামিনে থাকা ৭ শিশু আসামী মোট ১৪ জন শিশু আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল।
এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পর আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, আমি বরগুনা সরকারী কলেজে এমএলএসএস পদে চাকরী করি। ৮ জুলাই সকালে কলেজের কাজ শেষে নাস্তা করার জন্য কলেজের সামনে বের হই। সকাল সাড়ে ৯ টায় ক্যালিক্স একাডেমির সামনে এবং কলেজের উত্তর পাশে পুলিশসহ কিছু লোকজন দেখে দাড়াই। সেখানে রাজু মির ও ফারুক কাউন্সিলরও ছিল। একটি ছেলে কলেজের গেটের ভিতর পরিত্যাক্ত পানি ভর্তি ডোবা দেখায়। সেখান থেকে পুলিশ একটি বগি দা উদ্ধার করেন পুলিশ। পরে আমি জানতে পারি যে ছেলেটা বগি দা দেখিয়ে দিয়েছে তার নাম রিফাত ফরাজি। পুলিশ বগি দা জব্দ করেন। আমি আদালতে সেই বগি দা আদালতে সনাক্ত করেছি।
সাক্ষ্য রাজু মিরও একই কথা বলেন।
সাক্ষ্য শানু হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, আমি ২১ জুলাই সন্ধ্যা অনুমান ৮ টার সময় ব্যক্তিগত কাজে বরগুনা থানায় যাই। তখন থানায় একটি ছেলেকে দেখতে পাই। রিফাত হত্যার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির একটি ছেলের মোবাইল ফোন জব্দ করেন। আমি জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করি। পরে জানতে পারি ওই ছেলেটার নাম জয় চন্দ্র রায়। এদিন আসামী পক্ষের কোন আইনজীবী সাক্ষ্যদের জেরা করেননি।
রাষ্ট্র পক্ষে বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, শিশু আদালতে এ পর্যন্ত ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যরা যখন সাক্ষ্য দেয় তখন সকল ১৪ জন শিশু আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল। আদালতে দুইজন সাক্ষ্য আবদুর রাজ্জাক ও রাজু মির রিফাত হত্যায় ব্যবহৃত সেই বগি দা সনাক্ত করেছে। আসামী পক্ষের কোন আইনজীবী তাদের জেরা করেনি।
আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মনির সাংবাদিকদের বলেন, সাক্ষ্যরা আসামীদের নাম বলেনি। তাই আমরা সাক্ষ্যদের জেরা করিনি।