বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বিয়ের জন্য ১১ বছরের স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেলেন ঘটক

বিয়ের জন্য ১১ বছরের স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেলেন ঘটক

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে তৃতীয় বিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার রাতে চৌগাছা উপজেলার কিসমতখানপুর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গত ২৮ আগস্ট চৌগাছা উপজেলা শহরের বাড়ির সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় তিব্বত হোসেন ও মোহন নামের দুই ব্যক্তি। এরপর ঝিনাইদহের একটি কাজি অফিসে নিয়ে চৌগাছার কিসমতখানপুর গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে মোহনের (৩৫) সঙ্গে ওই মেয়েটির বিয়ে দেয়া হয়। মোহনের আগের দুই স্ত্রীর একজন অসুস্থ হয়ে, অন্যজন আত্মহত্যা করে মারা যায়।

এ প্রসঙ্গে চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি ওই ছেলের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছি আমরা।

তবে মেয়ের বাবার অভিযোগ, আমরা চৌগাছা উপজেলা সদরের একটি মহল্লায় বসবাস করি। গত ২৮ আগস্ট আমরা বাড়িতে কেউ ছিলাম না। এ সময় আমার মেয়ে বাড়ির বাইরে বের হলে তিব্বত ও তার এক ভায়রা অপহরণ করে। আগের দিন তিব্বত ঘটক আমাকে মোহন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য চাপাচাপি করে। আমি তাকে বলি আমার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে, এখনো ছোট। তাকে আমি বিয়ে দেব না। এ নিয়ে ঘটকের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তখন তিব্বত আমাকে হুমকি দেয়, ‘তোমার মেয়েকে নিয়ে যেতে আমার পাঁচ টাকার ভাজা খরচ হবে।’

মেয়েটি তার পরিবারকে জানিয়েছে, অজ্ঞান অবস্থায় একটি গাড়িতে করে তাকে ঝিনাইদহ নিয়ে যায়। সেখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। গাড়ির মধ্যে তার জ্ঞান ফিরলে তার হাত-মুখ চেপে ধরেন দুজন। মেয়েটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখতে নির্দেশ দেন চিকিৎসক। কিন্তু ওই ঘটক ও তার ভায়রা মেয়েটিকে হাসপাতাল থেকে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে এসে কোনো একটি কাজি অফিসে নিয়ে মোহন (৩৫) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেয়।

মোহনের আগের দুই স্ত্রীর একজন অসুস্থ হয়ে, অন্যজন আত্মহত্যা করে মারা যায়। বিয়ের পর মোহন মেয়েটিকে নিয়ে মহেশপুর উপজেলার আদমপুর গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠে।

মেয়েটির বাবা বলেন, থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশ আসামিদের আটক করেনি। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কিসমতখানপুর থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই দিন রাতে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech