ঝালকাঠি:
আবাসিক এলাকা থেকে লাশকাটা ঘর অপসারণের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম। বুধবার বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসক মো: জোহর আলীর নিকট নাগরিক ফোরাম নেতৃবৃন্দ এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, আবু সাঈদ খান, যুগ্ম-সম্পাদক উপাধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন রুবেল, প্রচার সম্পাদক হাসনাইন তালুকদার দিবস, নাগরিক ফোরাম নেত্রী মুক্তা আকতার, নাজমা বেগম, উজ্জল রহমান ও রুহুল আমিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ ৩ যুগ ধরে শহরের পূর্বচাঁদকাঠি আবাসিক এলাকায় লাশকাটা ঘরটিতে ময়নাতদন্তের কাজ চলে আসছে।
বাংলাদেশের প্রায়সব জেলাতে হাসপাতাল সমুহের মধ্যে লাশ কাটা ঘরের (ময়নাতদন্তের) কাজ সম্পাদিত হয়ে থাকে। একমাত্র ঝালকাঠিতেই তার ব্যতিক্রম। তাই জনস্বার্থে লাশকাটা ঘরটি এলাকাবাসির পক্ষ থেকে অপসারণের দাবী জানায় ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম। এই সড়কটিতে বসবাসরত বাসিন্দা ও চলাচলকারী পথচারীরা সবসময় অজানা আতঙ্কে থাকে। সন্ধ্যার পর রিকসাচালকরা ঐ সড়কে যেতে চায় না। এমনকি ঐ এলাকায় বসবাসরতদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ও আত্মীয়তা সৃষ্টি করতে অনাগ্রহ দেখায়। কোন ভাড়াটিয়া বাসা ভাড়া নিতে কিংবা জমি ক্রয় করতে চায় না।
একারণে এলাকাটি সকলের কাছে অবহেলিত ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্যে পরিণত হয়েছে। ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের তথ্যমতে, বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ লাশকাটা ঘর হাসপাতালের অভ্যন্তরে অবস্থিত আছে। যেমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নরসিংদী সদর হাসপাতাল, গাজীপুর জেনারেল হাসপাতাল, বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল সমূহে লাশকাটা ঘর হাসাপাতালের অভ্যন্তরেই রয়েছে। এছাড়া সদর হাসপাতাল থেকে লাশকাটা ঘরটির দূরত্ব বেশি হওয়ায় যথাসময়ে লাশের পোষ্টমর্টেম করাতে বিড়ম্বনায়ও পড়ছেন ভুক্তভোগিরা।
এছাড়া পঁচা, দূর্গন্ধ, কাটা ছেড়া রক্তাক্ত লাশ দেখে শিশুরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন অনেকে। পোষ্টমর্টেম করাতে আসা পক্ষের মাঝে সামনের রাস্তায় পুনরায় বিরোধ, মারামারির ঘটনাও ঘটছে অহরহ। লাশকাটা ঘরটি জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে অপসারন করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মধ্যে অবস্থিত ঘরটিতে সরিয়ে নেয়া প্রাণের দাবিতে পরিনত হয়েছে।