পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
মরনঘাতী নোভেল ১৯ করোনা ভাইরাসে বিশ্বের ১৫৩ টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। সারা পৃথিবীতে করোনা মহামারী আকারে ধারন করেছে। আজ পর্যন্ত এই ভাইরাস প্রান হারিয়েছেন ৮২৭০ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখের অধিক মানুষ। বিশ্বজুড়ে এই সংকটময় সময়ে বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল অন এরাইভাল ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার পাশাপাশি সারাদেশে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেছে সরকার। বাংলাদেশে এপর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকার বিভিন্ন হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু পাশাপাশি দেশের সকল বিমান ও স্হল বন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছেন।
গনসচেতনতা সৃষ্টিতে মুজিব শতবর্ষের কর্মসূচি স্হগিত করে গনজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, কোন প্রকার সভা সমাবেশ, মিছিল না করার জন্য অনুরোধ করার পাশাপাশি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে সর্বসাধারণকে জনসমাগ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। অপরদিকে করোনাভাইরাস ছড়ানো রোধে সভা-সমাবেশ ও ওয়াজ আয়োজন থেকে বিরত না থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তবে সরকারের এসব বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে শত শত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ নিয়ে মিছিল সমাবেশ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আজ লিফলেট বিতরন করেছেন পটুয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহিব্বর রহমান মুহিব। আজ তিনি কলাপাড়া উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ও কলাপাড়া বন্দরে হাটে আসা বিভিন্ন মানুষের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ নাসির উদ্দীন, মহিলা আওয়ামী লীগের উপজেলার আহবায়ক এমপি মুহিবের সহধর্মিণী ফাতেমা পারভিন রেখা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন হাওলাদার, সহ সভাপতি মেহেদী হাসান দিপু, সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হক তালুকদার আশিক সহ যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের গনজমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও এভাবে মিছিল সমাবেশ করে লিফলেট বিতরন সঠিক কিনা জানতে চেয়ে সাংসদ অধ্যক্ষ মুহিব্বুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী তরিকুল হাসান জানান স্যার এখন ব্যস্ত আছেন। তবে সচেতন সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এর সমালোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য নানান সময়ে বিতর্কিত কর্মকান্ড করে তীব্র সমালোচনার স্বিকার হয়েছেন নবীন এই সাংসদ। প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এমপি মুহিব্বুর রহমান, জমি দখল, স্হানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা, নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য উপজেলা নির্বাচনে হেলিকপ্টার করে প্রচারনা, উপজেলা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নিজের মত সম্মেলন করে পকেট কমিটি করা, বিএনপি জামায়াতের ক্যাডার লালন, নিজেকে নিজস্ব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষণা করে কমিটি পাওয়ায় ব্যর্থ হওয়ায় বছর জুড়ে আলোচনায় ছিলেন।