নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও চারজন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন।
সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৩৩৮ জনের। যাদের নতুন করে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। তার বয়স ২০ বছর। তিনি একজন নারী।
আগে থেকে যারা আক্রান্ত ছিলেন তাদের মধ্যে আরও চারজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন। নতুন যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে ৮০ বছরের একজন বৃদ্ধও রয়েছেন। এছাড়া সুস্থদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন নার্সও রয়েছেন।
ডা. ফ্লোরা বলেন, গত দুদিন রোগী না পাওয়ার খবরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘরের বাইরে মানুষ বের হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একদিন রোগী শনাক্ত না হলে বাংলাদেশ করোনামুক্ত মনে করার কোনো কারণ নেই। তাই সবাইকে আমাদের পরামর্শ মেনে ঘরে থাকতে হবে।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরেন ডা. ফ্লোরা। তুলে ধরেন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে ঘরে থাকাসহ প্রয়োজনীয় করণীয়ও।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সোয়া সাত লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় ৩৪ হাজার। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন দেড় লাখের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯, মারা গেছেন ৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ জন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই ছুটি ১১ এপ্রিল কিংবা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে সরকারের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।