বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

আমতলীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে ইটভাটার শ্রমিকরা

আমতলীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে ইটভাটার শ্রমিকরা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমতলীর ইটভাটিতে কাজ করছে শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ চুক্তি ভিত্তিক কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মালিকরা ইচ্ছা করে ছুটি দিচ্ছে না। মালিকরা বলেন, শ্রমিকদের কাজ করতে কোন বাধ্য বাধকতা নেই তারা ইচ্ছা করেই ছুটি নিচ্ছে না।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলায় ঝিকঝ্যাক ও ড্রামচিমনি ২৩ টি ইটভাটি রয়েছে। প্রত্যেক ইটভাটিতে অন্তত ১’শ ৫০ থেকে ২’শ শ্রমিক কাজ করে। ওই হিসেবে উপজেলার সকল ইটভাটিতে অন্তত সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছে সরকার। ওই সময় থেকে সকল মানুষ করোনা ভাইরাসের প্রভাব থেকে জীবন রক্ষায় ঘরে অবস্থান করছে।

 

 

কিন্তু আমতলীর ইটভাটির শ্রমিকরা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইটভাটিতে কাজ করছে। সকল মানুষ সরকারের নির্দেশনা মানলেও আমতলী ইটভাটির মালিকরা তা মানছে না। তারা সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শ্রমিকদের ছুটি না দিয়ে ইটভাটিতে কাজ করাচ্ছেন। শ্রমিকরা ছুটি চাইলেও তারা ছুটি দিতে টালবাহানা করছে এমন অভিযোগ শ্রমিকদের। ছুটি না পেয়ে কিছু শ্রমিক করোনা ভাইরাসের ভয়ে ইটভাটি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

 

 

শ্রমিকরা জানান, ছয় মাসের চুক্তিতে ইটভাটায় কাজ নিয়েছি। চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত মালিক ছুটি দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তারা আরো জানান, কিছু শ্রমিক করোনা ভাইরাসের ভয়ে ছুটি না পেয়ে কাজ রেখে পালিয়ে গেছে।
সোমবার আমতলী উপজেলার জিমি , সাউথ , কেএবি,ঢাকা, মা , আরএনটি, এএটি, এনবিএম ও তৌহিদ ইটভাটি ঘুরে দেখাগেছে, ইটভাটিতে নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ছয় মাসের ছুক্তিতে ইটভাটিতে কাজ নিয়েছি। ছুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে হবে। মালিকতো করোনা ভাইরাস চেনে না। শ্রমিকদের বাঁচা না বাঁচা নিয়ে মালিকদের মাথা ব্যথা নেই। তারা আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে ছুটি চেয়েছিলাম কিন্তু ছুটি না দিয়ে উল্টো তারা বলেন করোনা মনোরা বলতে কিছুই নেই।
সাউথ ইটভাটির শ্রমিক মোক্তাদিন,জাকির হাওলাদার, লিটন, বশার ও দুলাল ঘারামী বলেন, কাজ না করলে মালিক বেতন দেয় না, তাই বাধ্য হয়ে কাজ করছি।

 

আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী এলাকার সাউথ ইটভাটির ম্যানেজার মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের ছুটি দিলে ইটভাটি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ছুটি দিচ্ছি না।
আমতলী উপজেলা ইটভাটির মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার করোনা ভাইরাসের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদের কাজ করার কথা স্বীকার করে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকল ইটভাটির মালিকদের শ্রমিক ছেড়ে দেয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, আমার ভাটির শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, ইটভাটির মালিকদের শ্রমিক ছুটি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। তারপরও যারা শ্রমিকদের ছুটি দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech