আমতলী প্রতিনিধি ॥ আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণ নগন গ্রামের হাবিব ভূইয়া (৬০) নামের এক ইট ভাটার শ্রমিক প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে আমতলী হাসপাতালের আইশোলেশন রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর জানাজানি হলে এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্তের বাড়ী লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন।
জানাগেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণ নগর গ্রামের আদম আলী ভূইয়ার ছেলে হাবিব ভূইয়া একই গ্রামের আরএনটি ইট ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তবে ১৫-২০ দিন পূর্বে করোনার প্রভাব দেখা দিলে সেখানে থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে ছিলেন।
গত ১৭ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে সে ডায়রিয়া, দুর্বলতা এবং লো প্রেসার নিয়ে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন ১৮ এপ্রিল শনিবার তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এ পাঠিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার বিকেল আড়াই টার দিকে তার নমুনা প্রতিবেদন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে রিপোর্টে তার করোনা পজেটিভ বলে উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বর্তমানে হাবিব আমতলী হাসপাতালের আইশোলেশন বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে।
আমতলী উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, করোনায় আক্রান্ত হাবিব ভূইয়াকে আমতলী হাসপাতালের আইশোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, গত শুক্রবার হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছিল হাবিব।
তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর পরের দিন শনিবার তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বিকেল আড়াইটার দিকে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবেদন পেয়েছি।
এর আগে আমতলীতে ২ জন করোনায় আক্রান্ত হন। ১ জন মারা যান এবং আরেকজন চিকিৎসাধীন আছেন। এ নিয়ে আমতলীতে ৩ জন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রাক্ত হয়েছে ।করোনা ভাইরাশে আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যুর পর বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ আমতলী উপজেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেন। বর্তমান আমতলী উপজেলা লকডাউন অবস্থায় রয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন জানান, আক্রান্তের বাড়ী লকডাউন করে লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসা বিস্কুট বিক্রেতা রুবেল, কুতুব, জলিলসহ পরিবারের সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।