আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরছেন কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের ইটভাটার এক শ্রমিক। শনিবার উপজেলা হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এই প্রথম আমতলী উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। তিনি সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফেরায় এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
জানাগেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের এক ইটভাটার শ্রমিক গত ১৬ এপ্রিল ডায়েরিয়া নিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। গত ১৮ এপ্রিল (শনিবার) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইসিডিআর) পাঠিয়ে দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেলে ৩ টার দিকে তার নমুনা প্রতিবেদন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে তিনি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময় থেকেই তিনি আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার তার পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। দ্বিতীয় দফায় তার নমুনা নেগেটিভ আসে। তৃতীয় দফায় বৃহস্পতিবার তার নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। তৃতীয় দফায়ও শুক্রবার রাতে তার নমুনা প্রতিবেদন নেগেটিভ আসে। শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক তাকে সুস্থ্যতার ছাড়পত্র দেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ এমদাদুল হক চৌধুরী, ডাঃ মোর্শ্বেদ আলম, ডাঃ শারমিন সুলতানা, সেবিকা জাকেরা সুলতানা, শান্তা ইসলাম ও আখি আক্তার। এই প্রথম আমতলী উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরলেন। তিনি সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফেরায় এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
তার স্ত্রী বলেন, আল্লায় মোর স্বামীরে বাচাইছে। মুই ব্যবাক্কের লইগ্যা দোয়া হরমু। ডাক্তারেরা মোর স্বামীতে এ্যাকছের যতন হরছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইটভাটার শ্রমিক সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলার এই প্রথম কোন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরলেন।