বরগুনা:
র্যাবের বিশেষ আভিযানিক দল এর কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে আজ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বরগুনা জেলা সদরের দক্ষিণ বালিয়াতলি ইউনিয়ন থেকে তাকে আটক করা হয়। বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া এলাকার আলমগীর আকনের ছেলে সে।
গত বুধবার সকাল ৯ টার দিকে গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি থেকে রওনা করে বরগুনার পাথরঘাটায় পৌঁছায়। সেখান থেকে নৌকা পার হয়ে তালতলী উপজেলার শুভসন্ধ্যা ঘাটে নামে। তারপর এক মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে নিশানবাড়ীয়া খেয়াঘাট যাওয়ার চুক্তি করে। মোটরসাইকেল চালক তাকে নিশানবাড়ীয়া খেয়াঘাট না নিয়ে গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার সঙ্গীর আরেক মোটরসাইকেল চালক ও তার সঙ্গে থাকা আরও চারজন লোক মোবাইলে ডাকে। তারপর গৃহবধূর মেয়েকে গাছের সঙ্গে ওড়না দিয়ে বেঁধে রাখে। মেয়েকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ধর্ষণকারীরা।
গৃহবধূ জানান, আমাকে তারা দলগতভাবে ধর্ষণ করে এবং আমাকে গভীর অরণ্যে ফেলে রেখে চলে যায়, যখন আমার জ্ঞান ফেরে তখন আমি বন থেকে লোকালয়ে আসি এবং সমুদ্র পাড়ের জেলেদের সহায়তায় আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছাই কিন্তু টাকা পয়সা না থাকার কারণে আমি থানায় যেতে পারিনি এবং মামলা করতে পারিনি তবে বিষয়টি জানাজানি হলে আমি থানায় গিয়ে মামলা করি।
এ ঘটনায় স্থানীয় এক গ্রাম পুলিশ কর্মকর্তা সেলিম, দুলাল হোসেন, মোটরসাইকেল চালক হাবিব, চা দোকানদার কবির সাংবাদিকদের জানান, আমরা শুনেছি যে একজন মহিলা তার মেয়েকে নিয়ে শুভসন্ধ্যা থেকে নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাট যাবে। কিন্তু মোটরসাইকেল চালক জহিরুল নিশানবাড়ীয়া না নিয়ে শুভসন্ধ্যার গভীর অরণ্যে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। শুনেছি জহিরুলের সঙ্গে ছিলো এমাদুল, সোহাগ, নজরুল অনন্য।