বাউফল: গতকাল বুধবার (৬মে) তৃতীয় পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে। তের দিনেই করোনা জয় করে বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব কালাইয়া গ্রামের ৫জন বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (৭মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থেকে তাঁদের আনুষ্ঠানিক ভাবে করোনা মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এসময় করোনা জয়ী পাঁচব্যক্তিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ। মোবাইল কনফারেন্সে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।
এছাড়াও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান বালি, বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পি.কে সাহা, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) ফারুক হোসেন, থানা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা। করোনা যুদ্ধে জয়ী হওয়া পাঁচ ব্যক্তিরা হলেন- মোসা. হনুফা বেগম (৪০), মোসা. ফারজানা (১৪), মোসা. হাওয়া বেগম (৫০), মো. সিদ্দিকুর রহমান (২২) ও মোসা. আজিমন বিবি (৮০)। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, গত মাসের ২০তারিখ তাঁরা ঢাকা থেকে আসার পর সাবেক চীফ হুইপ মহোদয়ের নির্দেশনায় তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন রাখার ব্যবস্থা করি।
এরপর করোনা শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজ খবর রাখি। আজ তাঁরা করোনা মুক্ত। এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা পি.কে সাহা বলেন, তাঁদের প্রথম নমুনা পরিক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে। পরের দু’বারের নমুনা পরিক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় তাঁরা পুরোপুরি সু্স্থ্য। তারা এখন বাড়ি ফিরে যাবে। তবে তাদের আরো ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। স্থানীয় সাংসদ আ.স.ম ফিরোজ বলেন,’ এই বিজয়ের আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের।
তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ তাঁরা সুস্থ্য। তিনি আরো বলেন , করোনা আক্রান্ত হলে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললেই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকার জনগণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, গত মাসের ২০ তারিখ (সোমবার) ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে এলাকায় আসেন। এই খবর জানার পর স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগীতা উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখেন।
ওইদিনই নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হলে ২৪তারিখ তাদের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাদের। পরবর্তী দুই টেষ্টে তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।