আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস জয়ী তরুন চিকিৎসক আমতলীর কৃতি সন্তান ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান খাঁন আবার করোনা যুদ্ধের অপেক্ষায় হাসপাতালের প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। গত শুক্রবার ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে থেকে করোনা ভাইরাস মুক্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি। শনিবার তার কর্মস্থল বাখেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন শেষে আবারো ফিরবেন করোনা যুদ্ধে। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা ভাইরাসের রোগীতে সুস্থ্য করে তুলবেন।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার কৃতি সন্তান শিক্ষানুরাগী একেএম ইউনুস আলী খানের ছেলে তরুন চিকিৎসক মোঃ মনিরুজ্জামান খাঁন গত ৩৯ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে বরিশাল জেলার বাখেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ডিসেম্বর মাসে যোগদান করেন। ওই হাসপাতালে যোগদানের তিন মাস পরেই সারা বিশ্বে দেখা দেয় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভাব। ডাক পেয়ে বসেন করোনা যুদ্ধের। তরুন চিকিৎসক উদ্দ্যাম ও সাহসীকায় করোনা ভাইরাসকে পাত্তা না দিয়েই জীবনের ঝুঁকি করোনা যুদ্ধে অংশগ্রহনে রাজি হন। বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)-এর সংযুক্তির আদেশে গত ২৪ মার্চ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে যোগদান করেন। ওই হাসপাতালে ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন করোনা যোদ্ধা হিসেবে করোনায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা দেন। সেবার পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন- ৩৩৩ নম্বরেও তিনি সার্ভিস প্রদান করেন। গত ২০ এপ্রিল তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। ২৪ এপ্রিল বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের জঞ চঈজ ভড়ৎ ঈঙঠওউ-১৯ ঃবংঃ করালে রিপোর্টে কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। ঐদিন রাতেই তাকে ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রাখেন। তার অবস্থা সঙ্কটজনক হলে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ২৬ এপ্রিল উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। ওই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। কুর্মিটোলা হাসপাতালের চিকিৎসায় তিনি সুস্থতা অনুভব করেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরপর দু’বার নমুনা পরীক্ষা করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় তার নমুনা প্রতিবেদন নেগেটিভ আসে। ১৪ দিন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে করোনা ভাইরাসকে জয় করেন তিনি। পরে গত শুক্রবার ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেন। ছাড়পত্র পেয়ে তিনি আবারো করোনা যুদ্ধে ফেরার অপেক্ষায় কর্মস্থল বাখেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আসেন। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
করোনা যোদ্ধা ডাঃ মনিরুজ্জামান বলেন, করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে বর্তমানে সুস্থ আছি। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাখেরগঞ্জ হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছি। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন শেষে আবারো করোনা যুদ্ধে নেমে যাব। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কষ্টটা কতোটা কঠিন তা হারে হারে টের পেয়েছি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যা শিখেছি তা দিয়ে করোনা রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলবো।