কামাল হাসান রনি:
বঙ্গোপসাগরে তীর ঘেষে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া উপজেলা অবস্থিত। দুুটি পৌরসভা আর ১২টি ইউনিয়নের আয়তন ৪৯২.১০২ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২,৩৭,৮৩১ জন। পায়রা সমুদ্র বন্দর,তাপবিদুৎ কেন্দ্র,সাগরকন্যা কুয়াকাটাসহ গুরুত্বপূর্ণ এই কলাপাড়া উপজেলা।
গত ২৩ মার্চ কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন আবু হাসানাত মোহাম্মদ শহীদুল হক।দ্বায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে অন্যায় অনিয়মসহ যেকোন অভিযোগে তিনি সরাসরি সেখানে ছুটে যান, আর সেখানেই সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন এই কর্মকর্তা।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, রাস্তা দখল করে,সবজির বাজার উচ্ছেদ, মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ, নিত্য প্রয়োোজনীয় দ্রব্য গুদামজাত এবং উচ্চ মূল্যে বিক্রয়, চাউল আত্মসাতের অভিযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে তিনি তদন্ত করেন এবং সাধারণ মানুষের কথা শোনেন। সারাদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় দিনরাত স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
সচেতনা মূলক মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করে মানুষকে সতর্ক করে যাচ্ছেন। যেখানে সাপ্তাহিক হাট বসে সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। প্রতিটা ইউনিয়নের প্রতিনিধির সাথে সমন্বয় করে অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার তৈরি রাখেন। ঢাকা থেকে আগত সম্ভাব্য করোনা রোগীদের হোমকোয়ারান্টাইনে রাখা এবং কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি সেবা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
করোনা কালীন মহামারীতে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ত্রাণ সামগ্রী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন এই কর্মকর্তা। করোনা মহামারীতে অসহায় দুুুস্থ কর্মহীন পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, সংখ্যালঘু পরিবার এবং জেলে পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। ন্যায্য দামে টিসিবির পণ্য বিক্রয় নিশ্চিত করেন। বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা দেয়ার পাশাপাশি নগদ অর্থ তুলে দেন অসহায় মানুষের হাতে ।