পিরোজপুরের নাজিরপুরে মেয়েকে উত্যক্ত করায় ভগ্নিপতি লিটন হোসেনের (৩২) গোপনাঙ্গ কর্তন করলেন শ্যালক (স্ত্রীর বড় ভাই)। আর এ ঘটনায় শ্যালক মামুন ডাকুয়াকে (৪৫) আটক করেছে থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মুগারঝোর গ্রামে।
আটককৃত শ্যালক মামুন ডাকুয়া ওই গ্রামের মালেক ডাকুয়ার পুত্র। আর ভগ্নিপতি লিটন হোসেন জেলার নেছারাবাদ উপজেলার বৈলদিয়া ইউনিয়নের আদর্শ বয়া গ্রামের সৈয়দ বাহদুরের পুত্র। সে পেশায় অটোটেম্পু চালক।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত ভগ্নিপতি মামুন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবির চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে, আহত লিটনের বাবা বাদী হয়ে শ্যালক মামুন ডাকুয়ার বিরুদ্ধে রোববার দিবাগত রাতে নাজিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভগ্নিপতি লিটন গত ২৬ মে তার শ্যালকের (স্ত্রীর বড় ভাই) বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যান। গত শনিবার (৩০ মে) রাতে লিটন তার শ্যালক মামুনের ঘরে স্ত্রী ও ২ সন্তানদের নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় ওই রাতের আড়াইটার দিকে শ্যালক মামুন ডাকুয়া তার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে তার ভগ্নিপতি লিটনের গোপনাঙ্গ কেটে দেন।
মামলায় সূত্রে আরও জানা গেছে, ভগ্নিপতি লিটনের সাথে তার মেয়ের অনৈতিক সম্পর্ক সন্দেহে শ্যালক মামুন ডাকুয়া এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
লিটনের স্ত্রী সুখি বেগমের মুঠোফোনে বলেন, তার স্বামী কোন ধরনের অপরাধী নন ও তার ভাই মামুন ষড়যন্ত্র করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তার ভাইজির সাথে স্বামীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন সন্দেহে তার ভাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
আটককৃত মামুন ডাকুয়া আটকের আগে জানান, স্থানীয় একটি মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তার কন্যাকে ভগ্নিপতি লিটন গত এক বছর ধরে উত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি তার বোনকে জানানোসহ ভগ্নিপতিকে এ বিষয় থেকে সড়ে দাঁড়াতে একাধীকবার অনুরোধ করার পরও তিনি সাড়া না দেয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
নাজিরপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, এ ঘটনায় আহত ভগ্নিপতি লিটনের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মামুন ডাকুয়াকে রাতেই আটক করা হয়েছে।