বাউফল প্রতিনিধ:
পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা তাপস দাস (২৯) হত্যার প্রতিবাদ ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক বিচারের দাবীতে আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২মে) সকাল ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয় জনতা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঘটনাস্থল ডাংকবালোর সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় তাপস কুমার দাস হত্যার প্রতিবাদ ও পৌর মেয়রসহ জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক বিচারের দাবী তুলে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার, বাউফল পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক, সাধারন সম্পাদক এনায়েত খাঁন সানা।
বক্তারা বলেন, পৌর মেয়র জুয়েলের উপস্থিতি ও নির্দেশে প্রশাসনের সামনে যুবলীগ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসন এখন পর্যন্ত প্রধান আসামী মেয়রসহ জড়িতদের এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। এটা প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা।
বক্তারা আরো বলেন, যতদিন দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের কাছে সোপর্দ করা না হবে ততদিন আন্দোলন চলবে।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খাঁন, মদনপুরা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষায়ক সম্পাদক প্রভাষক কবিরুজ্জামান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সাহজাহান সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, পৌর যুবলীগ সভাপতি মামুন খাঁন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম সিকদার, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রুবেল প্রমূখ।
এছাড়াও উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবন্দরা উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৪মে) থানার সংলগ্ন ডাকবাংলোর সাসনে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মেয়র সমার্থিতদের হামলায় যুবলীগ নেতা তাপস দাস নিহত হয়। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই পঙ্কজ দাস বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ ৩৫জনকে আসামী করা হয়।
এঘটনায় এযাবৎ মামলার অন্যতম আসামী সাইমুন প্যাদাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।