বরগুনার তালতলীতে মাছরাঙা পাখির বাসা থেকে ডিম ও পাখি ধরে গলা কেটে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান ফারুকের বিরুদ্ধে পাখি শিকার করা দন্ডনীয় অপরাধে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সাগর
কর্মকার বাদী হয়ে তালতলী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
তালতলী উপজেলার তালতলীপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। জানাযায়, উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং জেলা ছাত্রদলের সদস্য কামরুজ্জামান ফারুক সোমবার রাতে গাছের কোঠর থেকে মাছরাঙা পাখি ধরে জবাই করে ডিমের পাশে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট দেয়। পোষ্ট দেয়া ছবিগুওলা এলাকায় ছড়িয়ে পরলে এ নিয়ে তোলপার শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় ওঠে । পরে কামরুজ্জামান ফারুক নিজের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট করে ফেলেন। এ মামলার বাদী সাগর কর্মকার বলেন, বিবেকের তাড়নায় আমি মামলা করেছি।
আমাদের দেশ থেকে মাছরাঙা পাখি বিলুপ্তির পথে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে আমাদের পশুপাখিকে রক্ষা করতে হবে। যারা নির্বিচারে পাখি হত্যা করে তাদের বিচার হওয়া উচিত। বরগুনার আইনজীবী সাইমুল রাব্বি বলেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, প্রোটেকটেড বোর্ড বা সুরক্ষিত এ সব পাখি শিকার করা দন্ডনীয় অপরাধে এক বছর কারাদ- অথবা এক লাখটাকাপর্যন্ত অর্থদ- অথবা উভয় দন্ডিত হবেন।
একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। তালতলী উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি আতিকুর রহমান অসীম বলেন, একটা শিক্ষিত ছেলে বোকার মতো কাজ করেছে। জেলা ছাত্রদলের কাছে বহিস্কারের জন্য সুপারিশ করে
পাঠিয়েছি তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, মাছরাঙা পাখির বাসা থেকে ডিম ও পাখি ধরে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে মামলার চার্জসিট আদালতে প্রেরণ করা হবে। আদলত বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।