এক নামে সবাই তাকে বড় হুজুর বলেই চেনেন, ডাকেনও। প্রকৃত নাম ক্বারী মো. আব্দুল ওহাব। বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া মানুষ। কমপক্ষে ৯০ বছর। স্থানীয়রা জানায় ৪/৫দিন আগে হুজুরে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলাপাড়ায়, পরে বরিশালে নেয়া হয়েছিল। অবস্থার তেমন কোন উন্নতি না হওয়ায় উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাড়িতে ফেরত নেয়া হয়েছে। এখনও বাড়িতে মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন। এখনও জীবিত রয়েছেন মানুষটি। অথচ তার জন্য আগেভাগেই কবর খুড়ে রাখা হয়েছে। তাও পাকা করা হয়েছে।
এনিয়ে গ্রামজুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরালও হয়েছে। বিভিন্নজনে ক্ষোভের মন্তব্য করেছেন।
এলাকায় বিষয়টি আলোচনার চেয়ে সমালোচনামুখর হয়েছে। সবাই শ্রদ্ধা করেন এমন মানুষটি জীবিত থাকাকালে কী করে আগেভাগেই কবর খুড়ে রাখা হয়েছে। হুজুরের ছেলে গোলাম মাওলা জানান, তার বাবা খুব অসুস্থ। শুধু শ্বাসটুকু চলে। তাকে যে যায়গায় তার অসুস্থ বাবা মারা গেলে দাফন করার কথা ওই জায়গা কাদামাটি থাকায় স্থানীয় মুরুব্বীদের পরামর্শে পাঁচজন রাজমিস্ত্রি এনে সোমবার তিনি কবরটি করেছেন। আর কোন বিষয় নয়।
খেপুপাড়া বড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি মো. সাঈদুর রহমান জানান, কবরের জন্য জায়গা চিহ্নিত করা (ওসিয়ত) যেতে পারে। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে কবর খুড়ে রাখা ঠিক না। কারণ মৃত্যুর সময় একমাত্র আল্লাহ জানেন।