মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ যখন বিশ্ব; তখন যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার করলেন কেনিয়ার বিজ্ঞানীরা। ম্যালেরিয়া দমন করতে তারা আবিষ্কার করেছেন এক বিশেষ ধরনের ব্যাক্টেরিয়া। যা রোগের জীবাণু ধ্বংস করতে পুরোপুরি সফল। সম্প্রতি এক পরীক্ষায় তা মানবদেহে প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তারা।
জানা যায়, দ্য কেনিয়া মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট আগামী ২ বছরের মধ্যে তাদের আবিষ্কার করা এ ব্যাক্টেরিয়া কাজে লাগিয়ে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার মতো মরণ ব্যাধি প্রতিরোধ করবে। চিকিৎসার এ নতুন সম্ভাবনা দেখা দেয় আফ্রিকান রাষ্ট্র বুরকিনা ফাসোতে। সেখানে রিভার ব্লাইন্ডনেস ও এলিফ্যান্টিয়াসিসের মতো পরীজীবী বাহিত রোগের চিকিৎসায় ব্যাক্টেরিয়াভিত্তিক ওষুধ রোগীর দেহে টিকার মাধ্যমে প্রবেশ করানোর পর এমন সফলতা পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা যায়, এ ওষুধ রোগীর রক্তে রোগ সংক্রমণের হার কমাতে সক্ষম। লাগাতার টিকা নেওয়ার কারণে রোগীর রক্তের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। ফলে তা মশার জন্য বিষাক্ত হয়ে ওঠে।
পরীক্ষার পর জানা যায়, প্ল্যাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম নামে নারী মশাবাহিত ম্যালেরিয়ার মারাত্মক জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে আইভারমেকটিনের। মানবদেহে এ ওষুধ প্রয়োগ করে তার ফলাফল যাচাই করবে আমেরিকার সিডিসিপি। যাচাইয়ের পর ওষুধটি বাজারজাত করার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।
কেনিয়ার স্বাস্থ্য গবেষণা কেন্দ্র জানায়, ম্যালেরিয়া উৎপাদনকারী প্ল্যাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম জীবাণু ধ্বংস করতে খুবই কার্যকর এ ব্যাক্টেরিয়া। তবে তাদের এ গবেষণা করা হয়েছে মূলত গর্ভবতী নারী ও শিশুদের ওপর। কারণ তারাই বেশি ম্যালেরিয়া প্রবণ।