বরগুনার তালতলীতে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাবিতে একযোগে উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও গনস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী জনসাধারণ। একই সাথে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচরের লক্ষে নেওয়া হয়েছে গণস্বাক্ষর। যা পাঠিয়ে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
সোমবার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে তালতলীবাসীর ব্যানারে সদর রোডসহ উপজেলা বিভিন্নস্থানের ছোটবড় ১৩টি বাজারে ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার ও হাজার হাজার ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাবিতে প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভিজে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। তার নির্বাচনী ওয়াদা হিসেবে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারী তৎকালীন অবিভক্ত আমতলী উপজেলার দক্ষিণের তিনটি (বড়বগী, কড়াইবাড়িয়া ও পঁচাকোড়ালিয়া) ইউনিয়নকে ভেঙ্গে সাতটি ইউনিয়নের সৃষ্টি করে তালতলীকে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপজেলা ঘোষনার পর থেকে গত আট বছরে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কার্যক্রম শুরু হলেও পূর্ণাঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম ও চিকিৎসাসেবা থেকে এ উপজেলার প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ বঞ্চিত রয়েছে।
এ উপজেলায় নামে মাত্র একটি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকলেও নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী। চাহিদামত ঔষধপত্র সরবরাহ না থাকায় ও জনবল নিয়োগ না দেয়ায় খোলা হচ্ছেনা আউটডোর ও ইনডোর। শুক্রবার ব্যতীত সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলে হাসপাতালের কার্যক্রম। এতে এ উপজেলার প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
প্রসূতি মা, শিশু, বৃদ্ধ ও অসহায় কর্মহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা নিতে হলে ২৪ কিলোমিটার দূরত্বে পূর্বের উপজেলা আমতলী হাসপাতালে যেতে হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পরে ভূক্তভোগীরা।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানিয়ে বলেন, নামে মাত্র একটি ২০শয্যা একটি হাসপাতাল ভবন থাকলেও নেই এর কোন কার্যক্রম। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, জনবল, অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী। পর্যাপ্ত ঔষধপত্র সরবরাহ না থাকায় খোলা হচ্ছেনা হাসপাতালটির আউটডোর ও ইনডোর। বক্তারা আরো বলেন, তালতলীর আড়াই লক্ষ মানুষ তথা প্রসূতি মা, শিশু, বৃদ্ধ ও অসহায় কর্মহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তালতলী উপজেলায় একটি পূর্নাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাবী জানান।