বর্ষাকাল মানেই খাল বিলে থৈ-থৈ পানি। টানা ভারি বৃষ্টিপাতে নদী নালাসহ খাল বিলগুলো ফিরে পায় নতুন এক যৌবন। ঠিক তেমনি বরগুনার আমতলীতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন নদী, খাল, বিল ও ডোবাতে বাড়ছে পানি। পানির গতির সাথে নিম্নাঞ্চল এলাকার ফসলি জমিগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় বাছড়ে মাছ শিকারীদের আনাগোনা। এ কারনে মাছ ধরার ফাঁদ বাঁশের তৈরী “চাই” এর কেনা- বেচার ধুম পড়েছে বরগুনার আমতলী বাজার গুলোতে।
সরেজমিনে বুধবার উপজেলার সর্ববৃহৎ সাপ্তাহিক হাট আমতলী বাজার ঘুরে দেখাগেছে, দুর-দুরান্ত থেকে মানুষ এসে বাঁশ দিয়ে হাতে তৈরী মাছ ধরার ফাঁদ “চাই” কিনছেন। মহামারী করোনায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষেরা দেশীয় মাছের স্বাদ গ্রহন করতে আর বাড়িতে বসে অবসর সময় কাটাতে গ্রামের খাল, বিল ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ স্বীকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
একই সাথে বাজারে মাছ ধরার সরঞ্জাম “চাই” বিক্রিও বেড়েছে। আর এ মাছ ধরার ফাঁদ “চাই” তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারীগর ও তাদের পরিবার। উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা ও হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চিলা গ্রামেই এই “চাই” বেশী তৈরী হয়। চাই তৈরীতে বাঁশ কেনা থেকে শুরু করে বাঁশ কাঁটা ও তা দিয়ে শলাকা তৈরী করতে দিনের শুরু থেকে সন্ধ্যা অব্দি কেঁটে যাচ্ছেন তাদের সময়। একটি ভালো জাতের বাঁশ থেকে কমপক্ষে ৭/৮ টি “চাই” তৈরী করা যায়। আর ছোট বড় প্রতিটি “চাই” বিক্রেতারা ১০০ থেকে ২০০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করছেন।
বিক্রেতা দীনেশ সাজ্জাল বলেন, বর্ষাকালে চারিদিক পানিতে থৈ-থৈ করায় এই সময়ে তাকে “চাই” তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। এ মাছ ধরার ফাঁদ “চাই” তৈরীতে পরিবারের সদস্যরা তাকে যথেষ্ট সহযোগীতা করেন। বর্তমানে “চাই” তৈরীর টাকায় আমার সংসার ভালোভাবে চলতেছে।
ক্রেতা ছয়জুদ্দিন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি দুটি চাই ৪০০ টাকায় কিনেছি। বর্ষাকালে “চাই” সহ অন্যান্য মাছ ধরার ফাঁদের দাম একটু বেশি থাকে। “চাই” ফাঁদ দিয়ে মাছ ধরা অনেক সহজ। সেজন্য বাজারে এর চাহিদাও অনেক বেশী। তিনি আরো বলেন, যেভাবে বৃষ্টিপাত বাড়ছে তাতে করে বাজারে “চাই” এর চাহিদা আরো বাড়তে পারে।