বরিশালে এবার চিকিৎসাখাতে প্রতারণা সহ নানা অপকর্ম বন্ধে হার্ডলাইনে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ । জাল স্বাক্ষর, ভূয়া কাগজপত্র, ভূয়া ডাক্তার, নিম্ন মানের ল্যাব সামগ্রী সহ নানান প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ডায়াগনষ্টিক ব্যবসায়ীদের ধরতে কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে বরিশাল প্রশাসন।
ইতিমধ্যে বরিশালে বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক, ল্যাব, ক্লিনিক ও ভূয়া হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) । মৃত চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করা, চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র প্রদানসহ বিভিন্নভাবে প্রতরণা করার মাধ্যমে সাধারন রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শনিবার দুপুরে বরিশাল গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি মঞ্জুর রহমানের তত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে বরিশাল শহরের আগরপুর সড়কে “দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস” নামক একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা রিপোর্টে জালিয়াতির প্রমান পায়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থলে এসে ল্যাবের চারজনকে সাজা প্রদান করে ল্যাবটি সিল গালা করে দেন।
দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মো. দি মুন মেডিকেল সার্ভিসের পরিচালক শাহিন ও তার ভাই মো. ইব্রাহিমকে ৬ মাস করে কারাদন্ড এবং দুই ভূয়া টেকনিশিয়ান শ্যাম সাহা ও শ্যামল মজুমদারকে ৩ মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
এসময় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম বলেন, বরিশালে নামমাত্র অনেক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও ল্যাব গড়ে উঠেছে। যার বেশিরভাগ কাগজপত্র জাল। তাই রোগীরা যাতে প্রতারণা শিকার না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়িয়ে আমাদেদর অভিযান অব্যহত থাকবে।
এছাড়া ভুক্তভোগী রোগী কাকলী বাড়ৈ এর পিতা কৈশব বাড়ৈ বাদী হয়ে উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শাহিন সহ চার জনের নামে প্রতারনা মামলা করেছে।
অভিযান নিয়ে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান বলেন, বরিশালের ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারগুলো বিভিন্ন অনিয়ম করছে। এখানে ডাক্তার কিংবা টেকনোলোজিষ্ট নেই। চিকিৎসকের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। তাই বিভিন্ন ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে ৪জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এরূপ অভিযানের ফলে দূর দূরান্তের রোগীসহ বরিশাল বাসীর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে।