বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

কলাপাড়ার পাখিমারা খালের উপর নির্মিত সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায়, দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

কলাপাড়ার পাখিমারা খালের উপর নির্মিত সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায়, দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা খালের উপর নির্মিত সেতুটি বুধবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এসময় সেতুর উপর থাকা শহিদুল হক ও রুহুল আমিন মৃধা খালে পড়ে আহত হয়। সাঁতরে তারা তীরে উঠায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি,তবে কলাপাড়া উপজেলা সদরের সাথে আট গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এতে দুর্ভোগে পড়ে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে পাখিমারা খালের উপর দুই দফায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ১১৬ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি নির্মাণ করে।

পুরনো সেতুর মালামাল খুলে এ সেতুটি নির্মাণ করার শুরু থেকেই সেতু পার হতে মানুষের মধ্যে ছিলো ভয় ও আতংক। কেননা সেতু নির্মানের সময় খালে ঠিকভাবে লোহার খুঁটিগুলো পোঁতা হয়নি। লাগানো হয়নি খুঁটির সাথে আড়াআড়ি লোহার এ্যাঙ্গেল।

একারনে সেতুতে মানুষ চলাচল করলেই দুলতো। কিন্তু বুধবার রাতে হঠাৎ মাত্র দুইজন মানুষ নিয়ে সেতুটির প্রায় ১১০ মিটার খালে পড়ে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, এ সেতু পার হয়ে পাশ্ববর্তী মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া গ্রামের মানুষ ছাড়া কুমির মারা, পূর্ব কুমির মারা, পাখিমারা, মজিদর্পু, এলেমপুর, বাইনতলা, ফরিদগঞ্জ ও সুলতানগঞ্জ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে।

এ ইউনিয়ন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজি কিনে বিক্রি করে। কিন্তু সেতু ভেঙ্গে পড়ায় এখন সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে সবজি চাষী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে সবজি কিনতেন। এখন সেতু ভেঙ্গে পড়ায় ছোট ডিঙ্গি নৌকার উপর তাদের নির্ভর করতে হবে।

এসব নৌকায় চার-পাঁচজনের বেশি মানুষ ওঠানো যায়না। সেক্ষেত্রে মালামাল পরিবহনে তাঁদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে। শিক্ষার্থীরা জানায়, হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে,তখন খেয়া পার হয়ে ঝড়,বৃষ্টির মধ্যে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। এতে দূর্ঘটনার আশংকা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও। নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. নাসির মাহমুদ জানান, সেতু ভেঙ্গে পড়ায় বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, সেতু ভেঙ্গে পড়ায় খবর তিঁনি পেয়েছেন। এখন বিকল্প উপায়ে চলাচল অব্যাহত রাখতে ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। সেতুটি সংস্কারের বিষয়ে এলজিইডিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

কলাপাড়া এলজিইডির প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, পাখিমারা খালে আগে ছিলো কাঠের পুল। উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তে ছয় বছর আগে একটি পুরনো আয়রণ সেতুর মালামাল দিয়ে ওই খালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে কলাপাড়া উপজেলায় ভেঙ্গে পড়া ও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech