আমতলী-কলাপাড়া মহাসড়কের ছুরিকাটা সৈকত ফিলিং ষ্টেশনের সামনে শনিবার বেলা ১১ টার সময় বাস ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটর সাইকেল চালক খলিলুর রহমান চৌকিদার (৪০) নিহত ও ১০ জন বাস যাত্রী আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত খলিল কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের কানাইমৃধা গ্রামের মোতালেব চৌকিদারের ছেলে । স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মোটর সাইকেল চালক খলিলুর রহমান ছুরিকাটা সৈকত ফিলিং ষ্টেশন থেকে গাড়ীতে পেট্রোল ভরে সড়কে উঠছিল। এ সময় কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুত গতির ইউনা ক্লাসিক বাস গাড়ীটির (ঢাকা মোট্রো-ব-১৫-০৩৫৯) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
বাস গাড়ীর নিচে পড়ে মোটর সাইকেল দুমড়ে-মুড়চে যায় এবং বাস গাড়ীটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশের একটি নারিকেল গাছের সাথে ধাক্কা লেগে গাড়ীর সামনে অংশ ভেঙ্গে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল চালক খলিলুর রহমান চৌকিদার (৪০) নিহত এবং বাস গাড়ীতে থাকা ১০ জন যাত্রী আহত হয়। গুরুতর আহত আমির হোসেন জোমাদ্দার, মিরাজ মুন্সি, জুয়েল মিয়া, আকলিমা বেগম,মাকসুদা আক্তার, শিশু নাকিব হোসেনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন খন্দকার গুরুতর আহত আমিন উদ্দিন জোমাদ্দার, মিরাজ মুন্সি ও জুয়েলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। অপর আহতদের আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে আমতলী থানা ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার পরপরই বাস গাড়ীর চালক, হেল্পার ও সুপার ভাইজার পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘাতক বাসটি আটক করেছে।
পুলিশ মোটর সাইকেল চালক খলিলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, মোটর সাইকেল চালক খলিলুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। বাসটি আটক করা হয়।