বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

ঢাকা-বালিয়াতলী নৌ রুট চালুর দাবিতে মানববন্ধন

ঢাকা-বালিয়াতলী নৌ রুট চালুর দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নে বালিয়াতলী টু ঢাকা নৌ রুটের লঞ্চ পুণরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত যাত্রীরা সোমবার দুপুরে গলাচিপার চরকাজল লঞ্চঘাটে চরবিশ্বাস ও চরকাজলের সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে চরকাজল লঞ্চঘাটে একটি মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন, চরকাজল ইউনিয়নের স্থানীয় মো. আবু নাঈম, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আবীর, মোরিফাত ও মো. আলমগীর প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা জানান, কলাপাড়া (খেপুপাড়া) বালিয়াতলী-ঢাকা নৌ রুটের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন হলো গলাচিপার চরকাজল লঞ্চঘাট। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ২০১৯ সালে ৬ আগস্ট এ রুটে বিলাস বহুল দোতলা লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। বিকেল ৪টায় চরকাজল লঞ্চ ঘাট দেওয়ায় এলাকাবাসী ও যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। এরই মধ্যে চলতি বছর মেলকার নেভিগেশন কোম্পানী একটি রুট বাতিলের জন্য একটি মামলা দায়ের করে।

এতে করে মেলকার কোম্পানীটি একতরফা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এ কাজটি করেছে। লঞ্চমালিকদের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ জনগন। যাত্রীদের সুবিধায় ঢাকা-বালিয়াতলী রুটে বিলাসবহুল দোতলা লঞ্চ সার্ভিস শুরুতে মামলার প্যাঁচে থেমে যায়। মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালী নেতৃত্বদানকারী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সাধারণ যাত্রীরা মেলকার কোম্পানীর কাছে জিম্মি হয়ে আছি। এ জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার পেতে চাই।’

এ বিষয় জানতে চাইলে ঢাকা নদী ব্যবস্থাপনা কমিটির আহŸায়ক ও এমভি ইয়াদ লঞ্চের মালিক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আসলে মামলা করে প্রতিপক্ষ আমাদেরকে ব্যবসায়িক হয়রানি করছেন। কারণ তাদের রুট আর আমাদের রুট আলাদা। আমার নৌ রুট হলো কলাপাড়ার বালিয়াতলী টু ঢাকা। তাদের হলো রাঙ্গাবালী টু ঢাকা। নদী দুইটা রুটও দুইটা।’

এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, বিকেল চারটায় গলাচিপার চরকাজল ঘাটে যে লঞ্চ রুটটি চালু হয়েছিল তা সাধারণ যাত্রীদের জন্য সুবিধার ছিল। কিন্তু একটি মহল যাত্রী সেবার নামে মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। এ জিম্মিদশা থেকে যাত্রীরা মুক্ত হবে এটাই সংশ্লিষ্ট দেখবেন বলে আশা করি। উল্লেখ্য, চরকাজল লঞ্চঘাট থেকে বেলা ১২টায় এমভি জাহিদ-৭ ও জাহিদ-৮ সহ তিন লঞ্চ যাতায়েত করছে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech