ভোলার লালমোহনে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২০ অবহিতকরন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে এ অবহিতকরন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডাঃ হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। আমরা চাই লালমোহনের ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী কোন শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে। এই কার্যক্রম চর অঞ্চলেও চলবে।
বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিএস বলেন লালমোহন উজেলায় ২১৬টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬-১১মাস বয়সী ৪৪৯০ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৩৪৭৮০ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানের টার্গেট নেয়া হয়েছে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। তবে কোন কোন শিশুর বমি বমি ভাব হতে পারে এতে ভয়ের কিছু নেই। ক্যাপসুলটি অবশ্যই ভরাপেটে খাওয়ানো হবে এবং করোনার কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। করোনার ব্যাপারে মাঠ কর্মীদের অবহিত করা হয়েছে।
এরআগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহসীন খাঁন বলেন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য হলো ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের প্রাদূর্ভাব এক শতাংশের নীচে কমিয়ে আনা এবং তা অব্যাহত রাখা। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা।
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা- ৯০ শতাংশ এর বেশি শিশু যাদের বয়স ১২-৫৯ মাস প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর দুইবার লাল রঙ্গের ভিটামিন এ (দুই লক্ষ আই ইউ) ক্যাপসুল পাবে। ৬-১১ মাস প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর বছরে একবার নীল রঙ্গের ভিটামিন এ (এক লক্ষ আই ইউ) ক্যাপসুল পাবে। অনুষ্ঠানে অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত ডাক্তার, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্ধ।