সরকার কিংবা জনপ্রতিনিধির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে অনুকরনীয় এবং বরণীয় উদাহরণ সৃস্টি করেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের প্রান্তিক চাষীরা। সবজির গ্রাম খ্যাত কুমিরমারা, মজিদপুর, এলেমপুরের সবজি চাষীদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করার একমাত্র যোগাযোগের পাখিমারা খালের ওপর এলজিইডির নির্মিত আয়রণ ব্রিজটি সম্প্রতি ভেঙ্গে খালেই ডুবে যায়। জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় চড়ম দূর্ভোগে পতিত হয় ৫ গ্রামের হাজারো কৃষক পরিবার। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরায় শিক্ষা,স্বাস্থ্যসহ সামাজিক নানা সমস্যার সম্মুখিন তাঁরা। অবশেষে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছা শ্রমে আজ শনিবার সকালে উদ্বোধন করা হয়েছে ১১৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে পাখিমারা খালের ওপর ভাসমান সেতু। প্রায় ৩৫০ ফুট লম্বা, চার ফুট পাশে এই সেতুটি নির্মাণে অন্তত আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ১০ অক্টোবর শনিবার সেতুটি চলাচলের জন্য চালু করা হয়েছে। ৭২টি প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর পাটাতন করতে ২৫০ ঘনফুট (কেভি) কাঠ লেগেছে। আর প্লাস্টিকের রশি লাগে তিন মণ। তারকাটা লেগেছে তিন মণ। এ সেতুতে একই সঙ্গে ১০ জন মানুষ পারাপার হলেও কোন ঝুঁকি নেই বলে দাবি এখানকার প্রান্তিক চাষীদের।
ভাসমান ব্রিজ তৈরির উদ্যোক্তা কৃষক মো.সুলতান গাজী জানান, আমরা কৃষকরা একজোট হয়ে এ ভাসমান ব্রিজটি নির্মান করি। উদ্যোক্তা কৃষক মো. জাকির গাজী জানান, স্থানীয় কৃষকদের উদ্দ্যেগে প্রায় আড়াই লাক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ব্রিজটি তৈরি করি।
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কুমিরমারা, এলেমপুর গ্রামের মানুষ যে নিজের ইচ্ছায় এ ভাসমান সেতুটি করেছে এ জন্য তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তারা এ উপজেলার একটি অনুকরনীয় দৃস্টান্ত হলো।