গত দুই দিনের অতিবর্ষণে আমতলী-তালতলী উপজেলার জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুদিনের বৃষ্টির পানি জমে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পানের বরজ, সব্জি ও আমনের ক্ষেত। আমতলী পৌর শহরসহ উপজেলার সর্বত্র এখন পানিতে থই থই করছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক জলাবদ্ধতা। দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ।
কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘন্টায় আমতলীতে ১১৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে আমতলী-তালতলী উপজেলার অধিকাংশ আমন ক্ষেত ও পানের বরজ এখন ২-৩ ফুট পানির নীচে। হলদিয়া, টেপুরা, ঘোপখালী, রাওঘা, কালিবাড়ি, চলাভাঙ্গা হাজার টাকার বাঁধ, সোনাখালী লেঅছা, টিয়াখালী মধ্য তারিকাটাসহ বিভিন্ন নীচু এলাকার অধিকাংশ সবজি ক্ষেত, মাছের ঘের পুকুর পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ভেসে গেছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতায় আমতলী পৌর শহরের পল্লবী আবাসিক এলাকা, খোন্তাকাটা, মাজার রোড, লেঅছা, কালিবাড়ি হাজী বাড়ী মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পানি জমে মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে। অনেক নীচু এলাকায় পানি জমে ঘড় বাড়িতেও প্রবেশ করেছে।
এছাড়া শহরের মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মফিজ উদ্দিন বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমতলী সরকারী কলেজ, বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজ, আমতলী বন্দর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খোন্তাকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাছে এবং আশপাশের এলাকা ২-৩ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
টেপুড়া গ্রামের পান ও মাছ চাষী মো. আবু ছালেহ জানান, অতিবর্ষণে মাছের ঘের ও পানের বরজ তলিয়ে গেছে। ঘের থেকে অনেক মাছ বের হয়ে গেছে। এতে অন্তত দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে।
আমতলী পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার জাকির হোসেন বলেন, ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে গেছে।
আমতলী আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। স্লুইস গেট দিয়ে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
তালতলী উপজেলার গাবতলী গ্রামের মো. ইসহাক হাওলাদার বলেন, পানিতে মাঠ-ঘাট থইথই করছে। আমন ধানের ক্ষেত পানির নিচে রয়েছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, বৃষ্টির পানি জমে অনেক পানের বরজ সবজি ও আমনের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি বেশী সময় জমে থাকলে পান এবং সবজি ক্ষেত পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।