সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ধর্ম অবমাননা ও নারীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রদানের অভিযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র তৌহিদ ফেরদৌস শাওনকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) প্রদান করা হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে নোটিশে। এছাড়া পুরো বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়গুলো বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.সুব্রত কুমার দাশ নিশ্চিত করেছেন।
প্রক্টর জানান, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে নোটিশের জবাব দিতে হবে। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. রহিমা নাসরিনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. নাজমুল কায়েস এবং আইন বিভাগের শিক্ষক সুপ্রভাত হালদার।
কমিটির সদস্যরা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তমূলক প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা তৈরি করবেন। উল্লেখ্য, তৌহিদ ফেরদৌস শাওন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে মুসলিম বিবাহের মোহরানা এবং বাঙালি মুসলিম নারীদের নিয়ে অশালীন ভাষায় স্ট্যাটাস ও কমেন্ট করেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযুক্ত শাওন দাবি করেন পুরো বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি ‘।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ববি শাখার নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আলাদা আলাদা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার শাওনের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।