বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক চিরুণী অভিযান চালিয়ে জেলা ডিবি পুলিশ ৯ জলদস্যুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
জানা যায়, গভীর সমুদ্রে ডাকাতির অভিযোগে বরগুনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর নেতৃত্বে এই অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
গত রবিবার (২২ নভেম্বর) রাতে তাদেরকে আটক করে সোমবার বিকেলে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, এব্যাপারে পাথরঘাটা থানায় হালিম বিশ্বাস নামের এক ট্রলার মালিক মামলা দায়ের করেন।
ট্রলার মালিক সাতক্ষীরা জেলার হালিম বিশ্বাস জানান, গত ১০ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরের ফেয়ার ওয়ে বয়ার এলাকায় রাত দুইটার দিকে মাছ শিকারের সময় আমার ট্রলারে পাশে বরগুনার পাথরঘাটায় রিপন দফাদারের মালিকানাধীন সোহেল সুমি ট্রলার নোঙর করে ১৫ মাঝিমাল্লারা আমার ট্রলারের মাছ ধরার সরঞ্জামাদি জাল দড়িসহ ট্রলারে থাকা সৌর ব্যাটারি, সোলার প্যানেল, চাল, তেল, মোবাইল, টর্সলাইট সহ প্রায় চারলাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এসময় আমার নৌকায় থাকা মাঝিমাল্লা বাঁধা দিলে পাঁচজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত জেলেরা হলেন- আহাদ, সাইফুল্লাহ, শাহনুর আলম, গোলাম রসুল ও কামাল হোসেন।
বরগুনা ডিবি (ওসি) খন্দকার জাকির হোসেন জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য যাচাই করে সোহেল সুমি নামের একটি ট্রলারের ৯ জনকে আটক করেছি।
আটককৃতরা হলেন ট্রলারের মাঝি ইব্রাহিম, রাসেল, মিরাজ, বেলাল, সাহজাহান, আল আমিন, ইয়াসিন, মিরাজ ও মঞ্জু মিয়া। এদের সকলের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলায়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাথরঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) সাঈদ আহমেদ জানান, অভিযানের সময় লুণ্ঠিত তেলের ড্রাম সহ বেশকিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ মামলায় জড়িত থাকা বাকি আসামীদেরকেও গ্রেফতারের জন্যে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এবিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মহরম আলী জানান, সাতক্ষীরা জেলার হালিম বিশ্বাসের ডাকাতির ঘটনায় দেয়া এক অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে গত রবিবার রাতে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জলদস্যুকে আমরা আটক করেছি । আটককৃতরা এঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন,এব্যাপারে ট্রলারের মালিক সহ অন্যান্য জড়িতদেরকেও আটকের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।