পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আঙ্গারিয়া বাহেরচরের অব্যহত নদী ভাঙনে একমাত্র বসতঘর হারিয়ে নিস্ব পটুয়াখালীর সেফালি বেগম। মুছে গেছে অনেক চিহ্ন, হারিয়ে গেছে স্মৃতি।
শেফালী বেগম ছাড়াও নদীর তীরে বসতঘর হারানো আতঙ্কে রয়েছে আরও কয়েক শতাধিক পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে চলমান ভাঙন রোধে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও আশ্বাস ছাড়া কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের। ইতিমধ্যে নদীতে চিরতরে হারিয়ে গেছে এসব এলাকার বসতঘর, ফসলি জমিসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া বাহেরচর এলাকার ৭০ বছর বয়সের সেফালি বেগম। পনেরো বছর আগে স্বামী ইউনুচ সিকদার মারা যান।
তিন বছর যেতে না যেতেই সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান খলিল সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সংসার চলতো তার।
তীব্র ভাঙ্গনে একমাত্র বসত ঘরটি নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় দিকবদিক ছোটাছুটি করে জীবন চলছে বর্তমানে। ভিশন অসহ্য যন্ত্রণা বুকে চেপে ধরে নদীর পারে গিয়ে দিনের বেশি সময় কাটিয়ে দেন তিনি। বসতঘর হারিয়ে রাস্তার পাশেই খুপরি ঘরে বসবাস করছেন তিনি।
পটুযাখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করছেন তারা। এছাড়াও যে সকল এলাকায় অত্যাধিক নদী ভাঙ্গন চলমান সে সকল এলাকার বাসিন্দাদের বিকল্প বসবাসের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, নদী ভাঙ্গনের ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হবে। সরকারী তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ এবং বসবাসের স্থান ক্ষত্রিগ্রস্থরা পাবে।