বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

কুয়াকাটা পৌর নির্বাচন: স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর উপর হামলা, আহত ২৫

কুয়াকাটা পৌর নির্বাচন: স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর উপর হামলা, আহত ২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা ও  স্বতন্দ্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
 বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জ্বীন খলিলের বাড়ির সামনে  মেলাপাড়া গ্রামে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদারের জগ প্রতিকে প্রচারনা  চালানোর সময় নৌকা সমর্থিত নেতা কর্মিরা  অতর্কিত হামলা চালিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কমিদের ব্যাপক মারধর করেন। খবর পেয়ে আনোয়ার হাওলাদার তার সাথে থাকা কর্মিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে আনোয়ার হাওলাদারের উপর হামলার ঘটনা ঘটে এসম দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িতদের পরে এঘটনায় ২৫ জন আহত হয়েছে   ’স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কে স্হানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার  সমর্থকর গনসংযোগে বের হয়ে কুয়াকাটায় যাচ্ছিল। এসময় নৌকা মার্কার সমর্থকরা বাঁধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িতে পরে।
এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারের ১৮ সমর্থক ও আওয়ামীলীগের প্রার্থী বারেক মোল্লার ৭জন সমর্থক আহত হয়।
এঘটনায় কুয়াকাটা পৌর এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ঘটনার পরই পুলিশের উর্ধতন কর্মকতারা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন। পৌর এলাকা ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই প্রার্থীর সমর্থকরা মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।  এব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদার জানান
কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে আমি সাধারণ জনগণের অধিকার আদায়ে লড়াই করছি।  আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল বারেক মোল্লা জনসমর্থন হারিয়ে ব্যাপক বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। নির্বাচনি পথসভার অংশ হিসেবে ৪ নং ওয়ার্ডে আমার পথসভা ছিল সেখানে  পোস্টার ঝুলাতে গেলে আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী আবদুল বারেক মোল্লার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার কয়েকজন কর্মীর উপর লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এসময়ে আমি আমার নিজ বাড়িতে মিটিং এ উপস্থিত ছিলাম । আমার কর্মীর উপর হামলার ঘটনা শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এসময়ে আমাকে দেখেও আবদুল বারেক মোল্লার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপর হামলা চালায় লাঠি দিয়ে আমার গায়ে মারতে থাকে এবং অতর্কিত কিল ঘুষিতে আমাকে দিশেহারা করে ফেলে। পার্শ্ববর্তী বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র দা, রামদা, জিআই পাইপ, বাশের লাঠি নিয়ে আমার কর্মীর উপর খুব বাজে ভাবে মারতে থাকে। মেরে রাস্তার পাশে পুকুরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় এবং কয়েকজনকে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করে।আমার দুটি মোটর বাইক ভাংচুর করে। একটি বাইক পালসার – ১৫০ (পটুয়াখালী-ল-১১-০৫৭২) এবং একটি প্লাটিনা বাইক জোরপূর্বক আটকে রাখে। এতে আমি সহ আমার ২০-২৫ জন কর্মী গুরুতর আহত হয় ।  আমি জনগনের সহযোগিতায় আহত কর্মীদেরকে কাধে নিয়ে তুলাতলি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল বারেক মোল্লা আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় এবং হাসপাতালে উপস্থিত তার সঙ্গে চলা সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেয়। আমার কাছে ভিডিও ও ছবিসহ প্রমাণ রয়েছে। তিনি ও তার এক ভাই পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনসার মোল্লা ও আরো কয়েকজন ভাই ও তার ছেলে ক্ষমতা ও অর্থের অপপ্রয়োগ করে নির্বাচনি পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন , থানা, উপজেলা ও জেলা থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে যেভাবে সন্ত্রাস-কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে আমার জনসমর্থকদের উপর হুমকি, ভয়-ভীতি ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে নির্যাতন চালাচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি ও আমার সমর্থকদের উপর অত্যাচারের এমন পর্যায়ে নির্বাচনে পুর্ণ জানমালের নিরাপত্তা প্রয়োজন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র  আবদুল বারেক বলেন আনোয়ার হাওলাদার প্রভাব বিস্তার করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করে বেলা ১১ টার সময় প্রচারনা শুরু করলে আমার কর্মিরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে তখন দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এতে আমার ৮-১০ কর্মি আহত হয়। রিটার্নিং অফিসার,  নির্বাচন কর্মকর্তা, দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্টট বা থানায় অভিযোগ না দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলা করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান আমি ঘটনাস্হলে ছিলাম তাই বলতে পারবো না।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্হলে অতিরিক্ত পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech