আমতলী প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মল্লিক বাড়ী এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাথে জড়িত দুই আসামী হারুন অর রশিদ ও জহিুরল ইসলামকে সোমবার সকালে গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওইদিন দুপুরে পুলিশ দুই আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরন সূত্রে জানাগেছে, আমতলী পৌরসভার বৈঠাকাটা গ্রামের মোঃ আবুল কালাম দীর্ঘদিন ধরে গরুর ব্যবসা করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গরু ক্রয়ের জন্য পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার বাদুরা বাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলী পৌর শহরের মল্লিকবাড়ীর সামনে ওত পেতে থাকা ৭/৮ জনের একদল সন্ত্রাসী আবুল কালামের মোটর সাইকেল গতিরোধ করে। পরে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম কওে এবং তার সাথে থাকা এক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রবিবার রাতে আবুল কালাম বাদী হয়ে হারুন অর রশিদ, আলমগীর কবির, জহিরুল ইসলাম, আবদুল মন্নান বয়াতি ও জাকির হোসেনকে আসামী করে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। সোমবার সকালে পুলিশ দুই আসামী হারুন অর রশিদ ও জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত দুই আসামীকে ওইদিন দুপুরে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাকের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী আবুল কালাম বলেন, গরুর ক্রয়ের জন্য আমি বাদুরা যাওয়ার পথে হারুন অর রশিদসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী আমার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। পরে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর জখম করে আমার সাথে থাকা এক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।