ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই পর্যটক বান্ধন নয় এমন অভিযোগ ছিল পর্যটকসহ স্থানীয় পর্যটক নির্ভরশীল ব্যবসায়ীদের। জেলা পুলিশসহ অপরাপর পুলিশের পদায়নে চলছিল তথাকথিত ট্যুরিস্ট পুলিশিং। ট্যুরিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ না দিয়েই এসব পুলিশ অফিসারসহ সদস্যদের দিয়ে পর্যটকদের সেবায় নামে উল্টো পর্যটক হয়রানিসহ শাসন শোষনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল পর্যটকরা।
সম্প্রতি কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহরাব হোসাইন যোগদানের পর বদলে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশের দৃষ্টিভঙ্গি। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও মনিটারিংয়ে পাল্টে গেছে সৈকতের চিরচেনা দৃশ্য। গত কয়েকদিন ধরে সৈকতের নানামূখী ব্যবসায়ীদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিং করে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে এসেছেন বেঞ্চ ছাতা, ট্যুরিস্ট বোট, ট্যুরিস্ট গাইড, ক্যামেরাম্যান, ষ্ট্রীট ফুডসহ সৈকত কেন্দ্রীক ব্যবসায়ীদের। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী ও কুয়াকাটা জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা দুই ঘন্টাব্যাপী কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের দু’দিকে এক কিঃমিঃ এলাকা পরিচ্ছন্নতায় নামেন। এসময় আগত পর্যটকরাও এসব কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের ওই কর্মকতাসহ পুলিশ সদস্যদের প্রশংসা করেছেন। সৈকত পরিচ্ছনতায় অংশ নেওয়া ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জোবায়ের আহম্মেদ বিন্দু সমকালকে বলেন, পরিচ্ছনতা শুরু হোক নিজ থেকে। তার মতে, একজন পর্যটক হিসেবে তারও দায়িত্ব রয়েছে। একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্য সৈকতে ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
প্রশস্ত ও ঝঁকঝঁকে সৈকতে নেমে বিমোহিত পর্যটক আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, সৈকত পরিচ্ছনতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ট্যুরিস্ট পুলিশের এমন কার্যক্রমের কথা জেনে তিনি আরও বলেন, রুটিন করে সৈকত পরিচ্ছনতায় নামা উচিত, সত্যিই এখন অসাধারণ লাগছে কুয়াকাটা সৈকতকে।
সৈকতের মোটর বাইক চালক সোহগ ও ক্যামেরাম্যান বাদল জানিয়েছেন বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের আয়োজনে সব কিছুই সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে এসেছেন। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত করা হবে এমন দাবী করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সিনিয়র এএসপি সোহরাব হোসাইন সমকালকে বলেন, এখন থেকে রুটিন করে সপ্তাহে একদিন করে সৈকত পরিচ্ছনতায় নামা হবে।