মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের নেতৃত্বে একটি নৌবহর দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে। সম্প্রতি চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এর মাঝেই ‘সমুদ্রের স্বাধীনতার’ প্রতি জোর দিতে এই অপারেশন চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের নৌবহর প্রবেশ করেছে। একই দিন চীনের আটটি বোমারু ও চারটি ফাইটার জেট বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিমের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল। তাইওয়ানে এতগুলো চীনা যুদ্ধ বিমানের অনুপ্রবেশ বেশ বিরল ঘটনা বলে জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়, নৌবহরটি দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান করছিল। এই সাগরের বড় অংশই চীন নিজেদের বলে দাবি করে। বিবৃতিতে বলা হয় ‘সাগরের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে ও সমুদ্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে অংশীদারিত্ব বিনির্মাণে’ এই নিয়মিত অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে।
নৌবহরের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল ডগ ভেরিসিমো বলেন, ‘সমুদ্রে আমার ৩০ বছরের নাবিকের অভিজ্ঞতায় দক্ষিণ চীন সাগর আবার দেখতে পারাটা দারুণ ব্যাপার ছিল।’
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই নৌবহরের কমান্ডারের কাছ থেকে এই বিবৃতি এলো। মঙ্গলবার বাইডেনের মনোনিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্থনী ব্লিঙ্কেন সিনেটে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় চায়না সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে।
চীন বারবার দাবি করে আসছে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলো দক্ষিণ চীন সাগরে চীন অধিকৃত দ্বীপগুলোর কাছাকাছি চলে আসছে। এই অঞ্চলের জলসীমা নিয়ে চীনসহ ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ব্রুনেই ও তাইওয়ানের মধ্যেও বিবাদ রয়েছে।
থিওডোর রুজভেল্ট রণতরীর সঙ্গে নৌবহরে টিকনডেরোগা শ্রেণির মিসাইল বহনকারী জাহাজ ইউএসএস বাঙ্কার হিল, আরলেইঘ বার্ক শ্রেণির মিসাইল বিধ্বংসী জাহাজ ইউএসএস রাসেল ও ইউএসএস জন ফিন ছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন জানানোর পর থেকে চীনের উদ্বেগ বেড়ে গেছে। গত বছর ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাইওয়ানের বিমানে চড়ে পরিদর্শনকালে তাইওয়ান জলপ্রণালীর সীমারেখার কিছুটা ভিতরে ঢুকে পড়ে। বেসরকারিভাবে এটি চীন ও তাইওয়ানের নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।