আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে করোনার ভ্যাকসিন এসে গেছে। ভ্যাকসিন আমাদের সকলেই পাবেন। সে ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি। এ জন্য ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশিত ‘১০০ কৃষি প্রযুক্তি এটলাস’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি এই আহ্বান জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। করোনা ভাইরাসে যদিও আমরা একটু থমকে দাঁড়িয়েছি কিন্তু করোনার সময় আমার যেটা নির্দেশ ছিল যে যেভাবে পারেন, খাদ্য উৎপাদন করেন। খাদ্যে যেন অভাব না হয় বরং অন্য দেশকে আমরা খাদ্য সহায়তা দিতে পারি। সেইভাবেই আমাদের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে।
কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন নতুন কৃষিপণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাত করে নিজেদের বাজার ধরে রাখতে হবে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বাইরেও রপ্তানি করতে হবে। এজন্য স্বল্পখরচে বেশি ফলদায়ক পণ্য আবিষ্কার ও চাষাবাদে মনোযোগী হতে হবে। এজন্য গবেষণাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা বাড়াতে বিজ্ঞানীদের প্রণোদনা দিতে চাই। এজন্য আমি উপায় খুঁজেছি, পাইনি। আপনারা এ বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।’
কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রসঙ্গ টেনে দেশনেত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই এবং জাতির পিতার যে স্বপ্ন; সেই স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে চাই। আমরা ২০২০ সালে মুজিববর্ষ পালন করা শুরু করেছি। ২০২১’ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। কাজেই আমরা আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব। করোনা ভাইরাসের সময় আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনেই এটা আমরা করব। ভ্যাকসিন এসে গেছে এবং এই ভ্যাকসিন আমাদের সকলেই পাবেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা পাবেন, প্রত্যেকেই পাবেন, সে ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যত মানুষ যারা ভূমিহীন-গৃহহীন তাদের সকলকেই একটা ঘর তৈরি করে দেব, একটা গৃহ দেব। একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন : ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থেকে সীমান্ত সুরক্ষতি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শতভাগ বিদ্যুৎ প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা পুর্নব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, গ্রিড লাইন যতদূর আছে সেখানে কিন্তু আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি ইতোমধ্যেই। কিন্তু কিছু কিছু দীপাঞ্চল বা দূরবর্তী অঞ্চল আছে, সেখানে সোলার প্যানেল দিচ্ছি, সঙ্গে সঙ্গে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমেও তাদের বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছি। কাজেই প্রতিটি ঘর আলোকিত হবে। আর প্রতিটি গৃহহীন ভূমিহীন মানুষরা গৃহ পাবে। মুজিববর্ষে অনেক অনুষ্ঠান আমরা করতে চেয়েছিলাম, পারিনি। কিন্তু এটাই আমাদের সবথেকে বড় কর্মসূচী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি সচিব মেসবাহুল ইসলাম ও বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ।