ঝালকাঠিতে শুরু হয়েছে কোভিড ১৯ টিকাদান কর্মসূচি। রবিবার বেলা ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যেমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি। উদ্বোধনের পরেই জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনিরকে করোনা প্রতিরোধ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। এছাড়াও জেলার তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একযোগে শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা টিকা নিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রথম দিন জেলার চারটি কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশনকারী ১৩০ জনের শরীরে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ১৫ ক্যাটাগরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। জেলায় চাহিদা পাঠানো হয়েছিল ১৯ হাজার ডোজ, এসেছে ১২ হাজার। ছয় হাজার মানুষকে দুই দফায় দুটি ডোজে এ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। ঝালকাঠিতে এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনকারী ৭৫০ জনের তালিকা পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী জানান, ঝালকাঠি সদরে প্রথম দিনে ৪০জন, নলছিটি উপজেলায় ৩০জন, রাজাপুরে ৩০ ও কাঁঠালিয়ায় ৩০জনকে এ টিকা প্রদান করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার। অনুষ্ঠানের সভাপত্বি করেন সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী।
টিকা নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ভ্যাকসিন সহযেই নিয়েছি। এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। এ টিকা নিতে কোন রকমের সমস্যা হয়নি।
সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী বলেন, যারা টিকা নিয়েছেন সবাই সুস্থ আছেন। আশাকরি কোন সমস্যা হবে না। আমি নিজেও টিকা নিয়েছি। আমার কোন সমস্যা হয়নি। রেজিস্ট্রেশন করে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।