নন্দীগ্রামে মুখ থুবড়ে পড়ে আহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেলিকপ্টারযোগে কলকাতায় এনে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখানেই তার চিকিৎসা হবে।
প্রস্তুত আছেন ৫ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। রয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবও।
১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে গ্রিন করিডোরে মুখ্যমন্ত্রীকে আনা হয়েছে হাসপাতালে। হুইলচেয়ারে করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পিজি হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১২ নম্বর কেবিনে। তার চোটের জায়গাগুলো এক্সরে করা হচ্ছে।
ভোটের মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উটলো বড়সড় প্রশ্ন। গোটা ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ আকারে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। খবর জানাজানি হতেই পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। মমতার বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
জেড প্লাস নিরাপত্তা পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে কীভাবে এত মানুষ এলেন ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিলেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে নাটক বলে দাবি করেছেন বিজেপি সংসদ সদস্য অর্জুন সিং।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী তিনি। তার উপরেই হামলা। এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কেনো লোকাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো না। এটা রাজনৈতিক ভণ্ডামি। নির্বাচনের ভণ্ডামি।
জানা যায়, বুধবার নন্দীগ্রামে নির্বাচনী কর্মসূচিতে ভিড়ের মধ্যে আচমকা ধাক্কা দেওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। কপালে ও মাথায় আঘাত লাগে তার। আঘাত লাগে বাম পায়েও। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের কেউ ছিলো না বলে অভিযোগ। দেহরক্ষীরাই কোনো ধরনের তুলে গাড়িতে নিয়ে যান মমতাকে।
রেয়াপাড়ায় ভাড়া নেওয়া বাড়ির উদ্দেশে তাকে নিয়ে রওয়ানা দেয় গাড়ি। কিন্তু পথেই অসম্ভব যন্ত্রণা অনুভব করেন মমতা। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে একটি দোকান থেকে বরফ নিয়ে তার পায়ে দেওয়া হয়। তবে, বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছাতে আরও যন্ত্রণা আরও বাড়ে বলে জানা গেছে। পিঠেও যন্ত্রণা অনুভব করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।