প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট পেল আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায়। দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামিয়া সুলুহু হাসান স্থানীয় সময় শুক্রবার আজ শপথ নিয়েছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির আকষ্মিক মৃত্যুর পর পরই দলীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট হলেন সামিয়া।
বিবিসি বলছে, দারুসসালাম শহরে ৬১ বছর বয়সী সামিয়া হাসান প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। এসময় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সামিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শপথ অনুষ্ঠানে সামিয়া হাসান সততার সঙ্গে তানজানিয়ার সংবিধান সমুন্নত রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
তানজানিয়ার সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মাগুফুলির দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ ২০২৫ সালে শেষ হওয়ার কথা। সামিয়া সেই সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাগুফুলি ও সামিয়া পুনর্নিবাচিত হন।
২০১৫ সাল থেকে সামিয়া হাসান ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ইথিওপিয়ায় সাহলে ওয়ার্ক জুয়েদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিও একজন নারী।
সামিয়া হাসানের রাজনৈতিক জীবন ২০ বছরের। তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পর্যন্ত পৌঁছেছেন তিনি।
২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিনদুজি দলের মাগুফুলির রানিং মেট হিসেবে সামিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিতে সামিয়াকে দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চামা চা মাপিনদুজি দলে মাগুফুলির মিত্র হিসেবে পরিচিত নেতাদের চাপের মুখে পড়তে পারেন সামিয়া।
সামিয়া হাসান নিজ দেশের বাইরে খুব বেশি একটা পরিচিত মুখ নন।
গত বুধবার দেশটির সরকারি টিভিতে তিনি মাগুফুলির মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাগুফুলি মারা যান। তবে এর আগে প্রায় তিন সপ্তাহ তাঁকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। কেন তাঁকে দেখা যায়নি, তা নিয়ে রহস্য রয়েছে।
তার মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে। গুজব রয়েছে যে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন।