বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহাদীর আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার ফ্রেন্ডশিপ স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ফ্রেন্ডশিপ স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয় তাকে।
আবদুল্লাহ আল মাহদীর বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজার উপজেলায়। তার বাবা জামালপুরে একটি সার কারখানায় চাকরি করেন।
চিকিৎসকের বরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল মাহমুদ রুমি জানান, আবদুল্লাহ আল মাহদী ‘স্টিভেন জনসন সিনড্রোম’ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। জিনগত সমস্যার কারণে এই রোগ হয়। এটা বিরল রোগ। এই রোগের লক্ষণ অনেকটাই পক্স এর মতো। তাই সহজে আইডেনটিফাই করা যায় না। সাধারণত এক মিলিয়নে ২ থেকে ৭ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হন। এতে ত্বক ও মিউকাস ঝিল্লি আক্রান্ত হয়।
মাহদীর বন্ধু মিসাল বিন সলিম জানান, ৬-৭ দিন আগে হালকা ঠাণ্ডা, জ্বর, চোখ লাল আর শরীরে ফোসকা পড়া শুরু হয়েছিলো। ডাক্তার দেখানোর পরে পক্স হিসেবে আইডেন্টিফাই করে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু পর দিন থেকে জ্বর বাড়তে শুরু করে। শরীরে ফোসকার পরিমাণ বেড়ে যায়।
এ কারণে তাকে জামালপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা মাহদীর শরীরে পক্স হয়েছে ধরে নিয়ে চিকিৎসা দিতে থাকে। ওই রাতে তার শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। ঢাকায় অনেক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করাতে ব্যর্থ হন তার পরিবার। শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফ্রেন্ডশিপ স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আইসিইউ’তে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহাদীর আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহাদীর রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।