নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সুবিধপুর ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সত্তার’র উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। গেল ২০/৪/২১ অনুমানিক রাত ৯টার দিকে নলবুনিয়া বাজারে বসে উক্ত হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল সত্তার মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ছেলে আবুল কালাম আজাদের নিবার্চনী প্রতিদদ্বি মেম্বার প্রার্থী রেজাউল করিমের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল হামলায় অংশ নেয়। সেসময় তারা ধারালো অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে বাজার এলাকায় মহড়া দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং প্রকাশ্যে জানান দেয় তার ছেলে আবুল কালাম আজাদ নিবার্চনী প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে জীবননাশ করা হবে। পরে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এবিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুর ছত্তার সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে স্থানীয় ইউপি নিবার্চনে মেম্বার পদে প্রার্থী। সেকারনেই স্থানীয় জনগনের নানা সেবা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি প্রতিপক্ষ প্রার্থী রেজাউল করিম হিংসাত্নাক চোখে দেখে আমার উপর হামলা করে এবং আমার ছেলেকে নিবার্চন প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এ হামলার বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অফিস সহ থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিবেন বলে নিশ্চিত করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর ছত্তার জোমাদ্দার। এবিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার প্রার্থী রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি মিডিয়ার কাছে কোন তথ্য দেননি এবং পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেন।এদিকে এই মুক্তিযোদ্ধার উপরে হামলার ঘটনাটি বৃহত্তর বরিশালের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে একটি বড় ধরনের বিক্ষোভ হতে পারে বলে অভাস পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসন থেকে আইনানুক ব্যবস্থা না নিলে আহত মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে যেকোন ধরনের কর্মসূচী গ্রহন করতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানানো হয়েছে। মিডিয়ার অনুসন্ধানে জানা যায়, হামলাকারী রেজাউল, এর আগে গেল বছর করোনাকালীন সময়ে সরকারী চাল চুরি’র অভিযোগে জেল খেটেছেন। এছাড়াও তিনি একটি ডাকাতি মামলার আসামী বলে জানা গেছে। তবে নলছিটি থানা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এইচ এম মাহামুদ বলেন, মারামারি একটি ঘটনার বিষয়ে আমাদের কাছে মোখিক অভিযোগ এসেছে। তবে লিখিত অভিযোগ আসলে তদন্ত করে আমরা আইনানুক ব্যবস্থা নেবো।