বরগুনার বামনা উপজেলায় কলেজ অফিস সহকারী গোলাম মোস্তফাকে (৫৭) হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আজ শনিবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতি ও এলাকাবাসী। গোলাম মোস্তফা হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রী কলেজের সহকারী ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিলন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বামনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইতুল ইসলাম লিটু, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ জিয়াউল হক, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন চ্যাটার্জি, নুরুল ইসলাম খান, প্রমুখ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আটক নাসিরের বাড়ির যে জলাশয় থেকে গোলাম মোস্তফার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার পাশেই একটি গাছের পাতায় রক্ত পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী ধারণা, মোস্তফা হত্যাকাণ্ডের সাথে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের ঘটনা জড়িত থাকতে পারে।
এলাকাবাসী জানায়, স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর আচরণ খুবই প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। পুলিশ বাবুল মিলিটারি নামে একজনকে আটক করলেও মোস্তফার স্ত্রী তাকে ছাড়িয়ে আনে। নাসিরকেও ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে।
গোলাম মোস্তফা ডৌয়াতলা বাজারে বাবুল মিলিটারি, সাজেদুল, শাহ আলমদের সাথে বাজারের ইজারার অংশীদার। মোস্তফার ১২ লাখ টাকা পাওনা নিয়ে বাবুল মিলিটারির বিরোধ চলছিলো বলেও কেউ কেউ জানিয়েছেন। মামলাটি ডিবিতে তদন্তের দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
শুক্রবার রাতে অজ্ঞাতদের আসামি করে গোলাম মোস্তফার স্ত্রী আলম তাজ বেগম বাদী হয়ে বামনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় শুক্রবার পুলিশ নাসির ও মিজানুর নামে ২জনকে আটক করেছে। বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, নাসিরের বাড়ির বাগানে গাছের পাতা থেকে রক্তের আলামত পাওয়া গেছে যা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। মামলার তদন্ত চলছে আসামিদের শীঘ্রই চিহ্নিত করা যাবে।