আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
মাদকের সেবনের টাকা না দেয়ায় বাবা হাফেজ ফকিরকে ছেলে সবুজ ফকির মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত বাবাকে স্বজনরা উদ্ধার করে রবিবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামে। এ ঘটনায় বাবা হাফেজ ফকির আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সোমবার পুলিশ ঘটনা তদন্তে এলাকা পরিদর্শন করেছে।
জানাগেছে, উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের হাফেজ ফকিরের ছেলে সবুজ ফকির গত ৭-৮ বছর ধরে মাদক সেবন করে আসছে। বাবাকে ছেলের মাদক সেবনের টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলেই বাবা ও মায়ের উপর নেমে আসে অমানষিক নির্যাতন এমন অভিযোগ বাবা হাফেজ ফকিরের। মাদকাসাক্ত ছেলের নির্যাতনে মা-বাবা অতিষ্ট। ছেলের নির্যাতনে মা সবুরজান বিবি ইতিমধ্যে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। রবিবার সন্ধ্যায় ছেলে সবুজ ফকির বাবার কাছে মাদক ক্রয়ের জন্য দুই হাজার টাকা চায়। বাবা এ টাকা দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় ছেলে সবুজ। এক পর্যায় বাবা হাফেজ ফকিরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মুখমন্ডল ও পা থেতলে দিয়েছেন। আহত বাবাকে স্বজনরা উদ্ধার করে রবিবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় বাবা হাফেজ ফকির আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সোমবার পুলিশ ঘটনা তদন্তে এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বাবা হাফেজ ফকির অভিযোগ করে বলেন, মাদক সেবনের টাকা না দিলেই ছেলে আমার ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে। গত ৭-৮ বছরে একাধিকবার মারধর করেছে। ওর নির্যাতনে ওর মা মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছ। তার চিকিৎসা চলছে। আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে। গতকাল আমার কাছে মাদক ক্রয়ের জন্য দুই হাজার টাকা চায়। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মুখমন্ডল ও পা থেতলে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আহত বাবা হাফেজ ফকিরের মুখমন্ডল ও পায়ে রক্তাক্ত যখমের চিহৃ রয়েছে। তার যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।