বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড, নির্বাহী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, সিভিল সার্জন বরগুনা, উপ-পরিচালক সিপিবি, পৌরসভার মেয়রসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জানান, ৬টি উপজেলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা মজুদ আছে, যা হতে ইতিমধ্যে উপজেলা ও পৌরসভায় বিভাজন করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৩৫৭ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। শিশু খাদ্য এবং গো-খাদ্য বাবদ ১২ লাখ টাকা রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান, ৪৫টি মেডিকেল টিম ৬টি উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ টিম রয়েছে ৭টি। সিপিবি, রেড ক্রিসেন্ট ও এনজিওসহ উপকূলীয় এলাকায় সাড়ে ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তাৎক্ষণিক ভেঙে গেলে বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য ৬টি টিম নির্মাণ সামগ্রীসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জোয়ারের পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় পাথরঘাটার পদ্মা, বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ উপচে পানিতে কয়েকটি গ্রাম ছাড়াও বরগুনায় বেতাগী, বামনা, পাথরঘাটা, আমতলি ও তালতলীতে বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থিত কয়েক হাজার বসতবাড়ি তলিয়ে আছে। বিশেষ করে বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থিত পরিবার জোয়ারের পানিতে অসহায় অবস্থায় রয়েছে। নতুন করে এখন পর্যন্ত কোনো বেড়িবাঁধ ভেঙে না গেলেও ঝুঁকিতে থাকা বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।