বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

রাজাপুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের এপ্রোজ গার্ডার নির্মানের অভিযোগ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

রাজাপুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের এপ্রোজ গার্ডার নির্মানের অভিযোগ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

রাজাপুর প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাকরাইল (বলারজোড়) এলাকায় এলজিইডির নির্মানাধীন ব্র্রীজের এপ্রোজ গার্ডার স্থাপনে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকেলে এনিয়ে স্থানীয়দের সাথে শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। নিম্নমানের কাজ নিয়ে ঠিকাদার থেকে প্রমিক পর্যন্ত একে অপরকে দোষারোপ করছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাকরাইল বাজার থেকে শ্রীমন্তকাঠি সড়কে (সাকরাইল বাজার সংলগ্ন) ব্রীজের নির্মাণ কাজ চলছে। শুরু থেকে ব্রিজের কাজ ভালোভাবে করলেও শেষ পর্যন্ত এপ্রোজনগার্ডার নির্মাণ কাজে শুভং করের ফাকি দিতে শুরু করে। গার্ডারের জন্য নির্মিত ব্লক খুবই নিম্নমানের। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরাতে গেলেও তা ভেঙে যায়। স্লাবের মধ্যে বিন্দু মাত্র কোন সুরকি বা খোয়া এবং রডের ব্যবহার করা হয়নি। রাস্তার পাশে পিলার স্থাপনে পিলারের নীচে স্লাব না দিয়েই বসানো হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাতে বাধা দিলে শ্রমিকরা কোন কথা না শুনে তাদের মতো করে কাজ করলে শ্রমিকদেরকে উঠিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয়দের তোপের মুখে কাজ পরিদর্শক ও লেবার সরদার আশিষ পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আরো জানান, রাজাপুর ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার সীমান্তবর্তি সাকরাইল বাজার থেকে শ্রীমন্তকাঠি বাজারে সড়ক পথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। সাকরাইল বাজার, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীমন্তকাঠি বালিকা বিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সহজতম পথ। একারনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও কয়েকশত যানবাহন চলাচল করে। স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ী ওই ব্রিজের উপর দিয়ে মালামালও বহন করে যাতায়াত করেন। জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্রিজ নির্মাণের শেষ পর্যায়ে গিয়ে গার্ডার নির্মানে শুভংকরের ফাকি দিতে শুরু করে। শুক্রবারে কাজ বন্ধ করে দিলে নিম্নমানের স্লাব অপসারণ না করেই শনিবারে গর্তের মধ্যে সিমেন্ট-বালু দিয়ে স্লাব তৈরী করে তার উপরে পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন জানান, ব্রিজের এপ্রোজ গার্ডার নির্মানের জন্য বাজারের দুটি বড় সেড দখল করে স্লাব তৈরী করে। এ কারনে দীর্ঘদিন সেড দুটি আটকা ছিলো। সেখান থেকে স্লাব নিয়ে যখন স্থাপনের জন্য রাখা হয়। তখনই প্রত্যেকটি স্লাব ভেঙে যায়। স্লাবের মধ্যে কোন সুরকী বা খোয়া এবং রড নেই। সিমেন্ট যা ব্যবহার করছে তাও প্রয়োজন অনুপাতে খুবই নগন্য। নিম্নমানের এসব সামগ্রী দিয়ে তৈরী করা এবং ভাঙা স্লাব বা ব্লক দিয়েই গার্ডার নির্মাণ কাজ ও পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। তাতে শুক্রবার বিকেলে এলাকাবাসীকে নিয়ে বাধা দিলে শনিবার সকালে লোকদেখানো কাজ শুরু করে। সাতক্ষিরা থেকে আগত শ্রমিক আনন্দ মন্ডল জানান, আশিষ ভাই আমাদের যেভাবে কাজ করতে বলছে আমরা সেভাবেই কাজ করায় মেম্বর (ইউপি সদস্য) বাধা দিয়ে তাৎক্ষনিক কাজ বন্ধ করে দেয়। লেবার সরদার আশিষ জানান, আমাদেরকে কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনির আমাদের যেভাবে কাজন করতে বলেছে আমরা সেভাবেই করেছি। তিনিই সব কিছু বলতে পারবেন। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয়রা কাজে বাধা দিলে আমরাকাজ বন্ধ করে দেই। কাজের ব্যবস্থাপক মনির হোসেন জানান, এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছি না। ঠিকাদার বাদ হোসনে জানান, ব্রিজ নির্মান কাজে কোন ত্রুটি হয়নি। ভালো ও গুণগত মানসম্পন্ন সামগ্রী দিয়েই ব্রিজটি নির্মান কাজ হয়েছে। ব্রিজের গার্ডার নির্মানে কয়েক হাজার স্লাব তৈরী করা হয়েছে। গুণগত ও মানসম্পন্ন নির্মান সামগ্রী দেয়া হয়েছে। পরিমানেও কম দেয়া হয়নি। কিন্তু স্লাব তৈরীতে মিস্ত্রিদের গাফিলতির কারণে হয়তো কিছু পরিমাণ ব্লকের মান খরাপ হয়েছে। যেহেতু পিচ ঢালাই রাস্তার পাশে গার্ডারের পিলার স্থাপনে পিলারের নীচে সংযুক্ত স্লাব না বসানোর কারনে আমার শ্রমিকদেরকেও মারধর করা হয়েছে। শ্রমিকদেরকে ভালোমানের স্লাব তৈরী ও পিলারের নীচে স্লাব ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঝালকাঠির এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী রহুল আমীন জানান, এমন কোন ঘটনা আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে বিধি মোতাকে ব্যস্থা নেয়া হবে। তবে খোজ খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech