আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে রওশন আরা নামের এক নারীকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিলেন প্রতিবেশী মোস্তাফা বয়াতি ও তার লোকজন। আহত নারীকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সংঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার সকালে তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার কলারং গ্রামের সুলতান বয়াতির সাথে মোস্তফা বয়াতির ১০ শতাংশ জমি নিয়ে গত এক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার সকালে সুলতান বয়াতির স্ত্রীর রওশন আরা বেগম চাকামইয়া বাবার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ী কলারং আসতেছিল।
পথিমধ্যে ওই নারীকে মোস্তফা বয়াতি, তার ছেলে মামুন বয়াতি ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম আটকে বেধরক মারধর কওে এমন অভিযোগ আহত রওশন আরা বেগমের। তাদের মারধরে রওশন আরা বেগমের বাম হাত ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক হিমাদ্রী রায় তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। আহত রওশন আরা বেগমের ছেলে সাইদুর রহমান বলেন, জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে মোস্তফা বয়াতি, তার ছেলে মামুন বয়াতি ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম আমার মাকে আটকে রেখে বেধরক মারধর করে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হিমাদ্রী রায় বলেন, আহত রওশন আরা বেগমের বাম হাত ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মোস্তফা বয়াতির ছেলে মামুন বয়াতি মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, তার সাথে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে।
তালতলী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।